নীলাঞ্জনা, তুমি এক শশী পূর্ণিমা চাঁদ
যেন এক মহিলা হয়ে বেঁচে আছো;
দেখিয়াছি তোমারে আমি যুগযুগ ধরে!
তুমি বিকেলের মুক্ত পাখি পৃথিবীর পথে
তাই খুঁজিতে যাই কতবার ফিরে ফিরে
তবুও শেষ চোখে তার পাইনি সত্যদার রূপে!

জানি আমি একদিন এই চট্টগ্রাম মুছে যাবে
মুছে যাবে জীবন থেকে তার ছায়া
সমুদ্রের মৃত তিমিরের মত অদৃশ্য হয়ে।
তবুও তোমার ভালোবাসাটুকু থেকে যাবে
আমার হৃদয়ে অনন্তকাল জুড়ে হায়!

আজিকার রাত সে কতো রাত এখন
নক্ষত্র জ্বলে আকাশের বুকে অনেকক্ষণ জুড়ে।
পৃথিবীর মানুষকে ভালোবাসা দিতে গিয়ে
আবার কখন নিভে গেছে অন্ধকারের থেকে
তুমি তবু নক্ষত্র নও— গেঁথে আছো হৃদপিণ্ডে।
দেখিলাম কতবার পৃথিবীর কাছে মানুষ মানুষেরা
পরে আছে ভালোবাসার অসুখে নিশ্চিহ্ন খঞ্জনা হয়ে!
তবুও তারা পৃথিবীর কাছে ঋণী!

সেকালে কত আগে দূর সমুদ্রের—
টাইটানিক জাহাজের মতো ধ্বংস হলো
কালের ঢেউয়ে নিপাতিত আমাদের স্বপ্ন আকাঙ্খা!
সেই জাহাজ পায় নিকো খুঁজে আর আস্ত
পেয়েছে টুকরো টুকরো খণ্ড অখণ্ড স্তুপ!
তবুও অগণিত মানুষের চোখে
রয়ে গেছে তার শেষ তিলোত্তমা
সব থেকে আশ্চর্য বিস্ময়!

নীলাঞ্জনা‚ সমস্ত দিনের শেষে
আমাদের শরীরে নেমে আসে
সে অগাধ ক্লান্ত ক্লান্ততা কাজের আহ্বানে!
তুমি মুক্তদার এক প্রাণ —
যেখানে ইচ্ছে হয় চলে যাও!
অনেক শতাব্দীর পরে এসে যখন
পৃথিবী বিখ্যাত মনীষীরা পায়নি আজো শান্তি খুঁজে।
হলো কত কিছু ধ্বংসাত্মক
স্তুপে হলো পরিনত যুগে যুগে।
আমরা খুঁজি সেইখানে শান্তি শান্তির আলো!

চট্রগ্রামে আমি যখন টেবিলের উপরে
লিখিতেছি এই পাণ্ডুলিপি খান!
দূরতর বাতাস জানালার দ্বার খুঁজে
দিয়ে যায় দু’প্রহর সস্থি।
যেন হয় এ বুকে সকালের অন্তিম সুর্যোদয়!