চারিদিকে কত জীবন মরে যায়
নিশ্চিহ্ন হয় আত্মা ধুলো-ময়লায়,
মাগো কতদিন সেও যে আমাকে
নিয়েছিল ঢেকে এই নরম ঘাসে!
আমার হৃদয়ে দীঘল চুলের মাথা রেখে
বলে গেলো কত কথা ম্লান মুখে,
তখনো বুঝিনিকো মা এত তড়িঘড়ি
পৃথিবীরে নিঃসঙ্গ করে চলে যাবে!
পিঞ্জরে আমার কাটা হয়ে
সে যে গাঁথিয়াছে অনাদি থেকে অনন্তকাল,
আসিতো না যখন ঘুম একফোঁটা আধফোঁটা
নরম সুরে পড়াইতো ঘুম হতে ভুলিয়ে গীত!
বালা মা কেমনে ভুলি তারে আমি
যাই যে ছুটে মধুর টানে
এগায় ওগায় কোথায় খুঁজে পাই!
কর আদর সোহাগ দিয়ে খাওয়াই দিতো ভাত
যখন রইতাম অসুস্থ হয়ে ঘরের পালঙ্কে,
দিলো না তার কষ্টটুকু আমায় বুঝিতে
সবই রাখিলো চাপা বুকে না করিলো প্রকাশ!
সাত বিকেলে রাঙা প্রভাতে
চেয়ে দেখি আকাশ পানে কত মেঘের খেলা,
এ-রকম খেলা সেও যে একদিন করিয়েছে
আমার ইষ্টপিণ্ডে এসে কতবার!
এখন তারে রেখে এলাম বাঁশ বাগানে অই
শুয়ে আছে দাদা-দাদী তারই পাশে হায়
সাদা কাফন জড়ানো তার দেহখানা নিথর
ঘুমিয়ে আছে কবর দেশে যাত্রী সেজে সে!