মনে আছে তোমার সে-দিনের কথা
সেই জোছনা খচিত নক্ষত্রের রাত,
শিরীষের ফাঁক দিয়ে চাঁদনির
আলো আমাদের শরীরে মাখামাখি,
দক্ষিণা বাতাস কেবলই বইতে শুরু করছে!
সন্ধ্যার আঁধারে তুমি আর আমি
জানালার কপাট খুলে প্রদীপ নিভিয়ে
বসেছিলাম ঘরের এক নির্জন কোনে?
আমরা বলিয়াছি মন খুলে কথা
নক্ষত্রের সাথে সে হৃদয়ের সাথে;
আমাদের মনে এক নিধূম আনন্দ
যাচ্ছিল বয়ে!
সে রাত যদি সেদিন না আসিতো
আমরা কবে হারিয়ে যেতাম দূর নিরুর্দ্দেশে,
হয়ত আর মিলিত হতাম না
তুমি আর আমি এই ঘরে,
হে দূর নক্ষত্র চন্দ্রমল্লী শিরীষের ডাল
বুনো বাসপক্ষী দেখিয়াছ তোমরা
জানিয়াছ জীবনের সফেন অইদিন!
জানি সময় ফুরিয়ে গেলে পরে
আমাদের যেতে হবে এই ঘর ছেড়ে
তখন আমরা কি আবার হবো না মিলিত
আমরা দুজন এক সঙ্গে কোনো এক
এরকম সন্ধ্যা রাতে!
প্রান্তের বাতাস ছুঁয়ে যাবে না
আমাদের শরীর;
দেখিবো না জোছনার আলো
নক্ষত্র প্রদীপের নিশ্চুপ কাটিয়ে দেয়া,
আমাদের মনে এক নিধূম আনন্দ
সে রাত্রির মতোন!