অগ্নিরথ কলম দ্বারা লিখিবো আজ পৃথিবীর গান
যারা জানে না মৃত্যু কি আপ্লূত‚
সমুদ্রের বক্ষচিরে যে ঢেউ ভাঙে পাথর!
আলোর স্তম্ভ দেখে অন্ধকার পায় নাকো
পালাবার পথ খুঁজে দিশা‚
দেখি যুগের কল্লোল খেয়ে
আজ সিক্ত ভুবন হইয়াছে উপনীত
সামনের তরী ভাসে বর্তমান!
আজ পৃথিবীর বুকে যে টানাপোড়েন গতিবেগ
চলিয়াছে কোটি মানবের হৃদয়ে‚
স্রোতের দিক আত্মপ্রত্যয়ে
নাহি চিরশান্তির মহোদণ্ড হরিৎ!
ওইসব বস্তির অবশম্ভাবিরা মরিছে
হাজার পথেঘাটে লাথি ঝাঁটা খেয়ে!
এইসব অরিন্দম আত্মপর তুচ্ছতম কথা
যদি যাই কারু কাছে বলিতে‚
বলে আমায়– তুমি থাকো বেঁচে‚
অন্যের কীর্তিমান হইবার আকাঙ্ক্ষা
বন্ধ করো বলে এই সমাজ!
অন্তরায় জীর্ণ চিন্তা যেটি উৎপাত ঘটে
ক্ষান্ত নিশাচর যে সুখ হস্তক্ষেপ করে‚
পারিনা কভু তখন কোনোমতে এ তরী দমিয়ে রাখিতে!
এই দেহ ভাণ্ডার মোটে!
যারা জানে না অন্যের নিষ্ফলন জোগাড়
অন্যের তুখোড় কষ্ট দেখে দেয় অট্টহাস
রাখে তাগো পদতলে সর্বক্ষণ!
বহে অনার্য লব্ধ মহি পরাত‚
মারে লাথি ও-ই কাঁটার আঘাতে!
ঝরে তৃণমূল রক্ত অনাথ বেচার দেহ থেকে!
নাই তাহাগো যে একটিবার দেখিবার মতো
দুঃসাহসিক রুদ্রদীপ মানব!
পৃথিবীর পানে চলে যতসব অন্যায় অত্যাচার
কোনো এক গর্ভবতী মায়ের প্রতি‚
ঘৃন্য পৃষ্ঠের মতো নিশ্চল কাজ!
চলে দুর্নীতি সে বেদনা বিশ্বখণ্ড জুড়ে‚
চলিছে অনাথ হতদরিদ্ররা তারই শাশ্বত পদতলে!