সে মেয়ে, খুব সাধারন এক মেয়ে।
ধানসিঁড়ি নদীটির মত আছে বিশাল এক প্রান
হিংসা অহংকার বলতে নেই,
পৃথিবীর সুখ শান্তির প্রতি লোভ নেই;
এমনই সে মেয়ে কড়া নারে আমার জানালায়
আমি তারে ভালোবাসি কি-না!
—তার নাম বুঝি সূচনা
সন্ধ্যার জোনাকিরা স্মরন করে একবার
রাত্রির নক্ষত্রেরা জানান দেয় পুনরায়
আমার বহুতর হৃদয়ও তাই?
একাত্তরের রক্তের মত ঝরে শ্রাবন
তাকে না পাওয়ার আক্ষেপে!
অন্ধকার হাতরিয়ে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে
আবার নিদ্রাকে আনমনা করে;
মশারির ভিতর চোখ দুটো
টিকটিকির মত পলকহীন দৃষ্টিতে বেভেছি;
মনের কৌটায় কবে তাকে বন্দী
নিভো চিরকালের মত আপন করে!
তবুও জানি আমি—
তারে আমি কোনোদিনই পবো না,
আঁখি মোর সজনের কুয়াশা
স্বপ্ন কেবলই আবেশের বৃথা,
উপভোগ জ্ঞানীর মত নয়তো স্থির দিশা
আফসোস কালোমেঘে আমার আকাশ বোলায়!
হে প্রেম, মানুষের কামনাতীত!
কত আর শিখার পুড়িতে আমাকে পুরাইবে।
পৃথিবীর বৃদ্ধদের মত শরীর শুধু কঙ্কাল
ঈশ্বরীপুর এইসব কঙ্কালের দেশ,
হৃদয় হৃদয় আমরা আজ আহত অক্ষত
তবুও চাই প্রেম অনিবার অরুনের পাগলা হাওয়ায়!
সূচনার চক্ষু কি ক্লিষ্ট ক্লান্ত,
ছুটি দিয়ে কখন গিয়েছে বাড়িতে;
চারিদিকে সপ্তর্ষি পুলস্ত্যের আহ্বান,
নেশায় ক্ষত-বিক্ষত আমার জরার্জীন দেহ
ঘরে আজ তবু জায়গা নেই,
সবুজ গালিচার পরে ঘাসের স্তন চুষে ঘুমাবো!
শুকতারার গান জানি তুমি শোনোনি
আমার এ আকাশের নিচে এসে কোনোদিন!
দেখোনি হৃদয়ের কপাট খুলে
জানোনি ব্যথার চকমিয়া কতখানি!
ভালোবাসি যদি তুমিও বলিতে ভালোবাসি—
নীল ফড়িঙের মত কাঁচের বোতলে রাখিতাম সযত্নে!