কার্তিকের শেষ বিকেল জেগে আছে
পশ্চিমের আকাশে হেলে পড়েছে ক্লান্ত সূর্য,
পায়ে পায়ে ছড়িয়ে আছে দূর্বাঘাস
কোথাও পাখির ডানা চলিতেছে ইঞ্জিনের মত।
অপরূপ সৌন্দর্য্যের বনে কার্তিক এসেছে
ঘাসের উপর সব বিছানো পাতার মুখ,
তুমি বললে, আজ আমরা হারিয়ে যাবো
জীবনের ক্লান্ততা ছেড়ে বিকেলের আকাশে,
যেখানে চিলের তৃপ্তি ভরে সুখের আবরণে
এইসব কেবলই তোমার কথা অস্পষ্ট জগতে।
তবু একদিন কার্তিকের ভীড় শেষ হবে
বিকেলে চিলের উড়াউড়ির দিন বন্ধ হবে,
কুয়াশার পথে সবই ধূসর নিস্তব্ধতা বয়ে আনবে?
জানি আমি তোমার উচ্ছ্বাস দু’চোখ চিরকাল—
চিরকাল আমাকে বেঁধে রাখবে পৃথিবীর পারে।
আমাদের জীবনের অনেক স্মৃতি এইখানে
আজও যেন লেগে আছে ঘাসের শরীরে,
অই সব পাখিদের ডানার পশমের মতো গুঁজে,
কোনোদিন মুছে যাবার নয় গভীর প্রেম।
হৃদয় কি নিয়ে কথা বলে? আমরা পাই টের,
রয়েছে এই কার্তিকের গোধুলি লগ্নে ফাঁসে
হেঁটে চলি দু’জন চোখে চোখ রেখে, হাতে হাত।
শান্ত বিকেলের মাঠ চেয়ে আছে চৌদিকে
কোথাও দূরে কাছে মানুষের হইচই ঝরে যায়
সজনে পাতার গুড়ি লেগে আছে শাড়ির আঁচলে
চারিদিকে ঐ কুসুম সূর্যের উজ্জ্বলতা নাশ।
পৃথিবীতে তুমি আমি শূন্যের মতন বিচরণ করে চলি
আকাশ ডেকে যায় শেষ বিকেলে মেঘে তার,
তাকে কেউ ভালোবাসে বলে সেও আজ ফিরে চায়
কিন্তু ব্যর্থ ধারণা সরিয়ে কখন লুকিয়ে যায়
রাত্রির নক্ষত্রের সাথে কথা হবে এই জেনে তবু
অতীত কেবলই ধরা দেই চুপেচুপে নির্লিপ্তিতে ঠিক।
প্রেমে মসগুল যেই প্রেমিক খুঁজে চায়—
তার প্রিয়ার কাছে একমুঠো স্বস্তির নিঃশ্বাস,
পৃথিবীতে তার সাথে তবু হয় নাকো কারু তুলনা!