সে কতো আগেকার পুরনো সব কথাবার্তা
যেন আজ কার্তিকের নীল আকাশ
ঘুরে ফিরে মাথার উপর ঠাঁই দাঁড়িয়েছে।
পৃথিবীর পথে নেমে আসে পুরনো বাসি সুর,
চিলের পাখনায় ভিজে মেঘের দুপুরে,
আমারে ডাকে শীতরাতে কুয়াশার রাতে!
বড়ো বড়ো ট্রাকের ঝলকানিতে কেঁপে উঠে
রাস্তার দুই দ্বার সমস্ত বিল্ডিং মুহুর্তে
তারই মতো হৃদয় গহ্বর আতঙ্কে ফলে উঠে রোজ।
কবেকার ম্লান মসলিন যুগের শাদা নারী
ছুঁয়ে গেলো হাত বিছিয়ে গেলো অজস্র স্মৃতি
রোমন্থন থেকে সূদুর চীন কই খুঁজে পাই তাহাদের!
আমাদের জীবন কাঁচ টুকরোর মতো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন
চারিপাশে নিরাশার ফেনিল অন্ধকার
কোথাও দু’দণ্ড শান্তি নাই হৃদয়ের তরে।
তবুও একদিন অন্তিম হৃদয় গেয়েছিল গান
ভাসানের চড়ে শুনেছিল আকাশ আর বাতাস
আর সেই ধূসর মেয়েটিও তার প্রাণে!
গড়িয়েছি আমি দূর সমুদ্রের উপকূলে ঘর
জীবন কাটিয়েছি সেইখানে একা-একা কতোদিন
গাঙচিল শালিকের মতো নিঃস্বাধীন ভেসে ভেসে।
রাখিনিকি আমি দূর নক্ষত্রের কাছে প্রশ্ন?
পাইনিকি আমি ব্যথা তোমারে ভেবে ভেবে?
প্রাণে আজ উত্তাল স্রোত ভেঙে পড়ে সব!
দুঃখের কবি কোথাও গিয়েছে চলে কেঁদে কেঁদে
শত যন্ত্রণার বোঝা কাঁধে লয়ে নিরুদ্দেশে
তোমার চোখ দেখিবে নাকো কোনোদিন হায়।
কার্তিকের আকাশ রবে চিরকাল নীল হয়ে
চারিদিকে ফুটে উঠবে যেন আরেক পৃথিবী
তবুও তোমার অভাব হবে নাকো কোনোদিন পূর্ণ!