হে মানব শঙ্কিল জাগো চক্ষু তুলি
চারিদিকে মহা অগ্নি প্রলয় এসেছে ধেয়ে!
বুঝি আজিকে তোমাদের করিবে গ্রাস
তোমরা জীবিত থাকতেও নিরবধি অন্ধকার ঘরে
কতোকাল জীবন মৃত্যুর মাঝে আছো দাঁড়িয়ে!
জীবনরে রাঙাও আকাশের চাঁদের আলোতে
নক্ষত্র শিয়া ডাকে তোমাদের সারারাত‚
তোমরা তিরিশ লক্ষ্য শহীদ রক্তাক্ত শোকাহত প্রাণ
আজ নয় ঢের আগে জানিয়েছ—
পূর্ব মহাপুরুষের কাছ থেকে অন্যায় অবিচার
জঘন্য ঘৃন্নিত অত্যাচার নির্যাতন প্রতিহত তন্ত্রমন্ত্র!
পেয়েছ এক সাগর রক্তের সমূল্য হিসাবে
সোনার বাংলা— অথচ থাকো চক্ষু বুঝে ঘুমিয়ে।
তোমাদের শত মানুষের সামনে
কাল ওরা করিলো প্রকাশ্যে খুন;
এলো নাকো কেউ নববধূর স্বামীকে বাঁচাতে;
নারী হয় বিধবা কোথাও হয় পতিতা
কোথাও হয় ধর্ষিতার করুন ইতিহাস!
অন্ধকারে নিশীথের মতো ঝরে নীরবে অশ্রু
রাখে না কেউ তার খোঁজ এই সমাজ;
যাচ্ছি এক পা দুই পা করে ভূমধ্যসাগরে ডুবে।
যাচ্ছ অন্ধ জগতে হারিয়ে—
তোমরা আজ দুর্নীতির অপকর্মে লিপ্ত!
কি দোষ করিয়া ছিল ওইদিন
নুসরাতের মতো এক নিরপরাধ মেয়ে
কি দোষ করিয়েছিল বাংলার নিস্পাপ;
পাঁচ বছরের ছোট মেয়েটি—
তারে করো ধর্ষণ— করো গলা টিপে হত্যাগঞ্জ‚
আর কতো জননীর বুক হবে খালি!
হে মানব শঙ্কিল জাগো চক্ষু তুলি
চারিদিকে মহা অগ্নি প্রলয় এসেছে ধেয়ে।
কোথায় তোমার স্বাধীন সমাজ
তোমরা যে আজ নিপাতিত অন্ধকারে!