মনে পড়ে সেই গাজীপুরা
চোদ্দশ একুশের কথা—
চারিদিকে শুধু জল আর ধানক্ষেত
শ্রাবণ দিত জলাঙ্গীরে আবিরল জল
আমি তখন ক্লাস দ্বাদশে
তুমিও পরিতে দশমে
কিন্তু দূরত্বটা ছিল ঢের।

আমি থাকিতাম চট্টগ্রাম,
গাজীপুরায় থাকিতে তুমি—
আমাদের কচি যৌবন কেবলই শুরু,
বাড়ি বড়া লোকে লোকারণ্য
কত আনন্দ উল্লাস
নীল অন্ধকার জোছনা আলোয়ে
স্যাঁতস্যাঁতে শীত রাত।

আমাদের হৃদয় দূর শূন্য শঙ্খচিলের মত
ডানা ছেঁড়া উড়ন্ত ময়ী—
কত কথা কত গান কত গল্পে
কেটে গেল দিন আর রাত
এঁকে এঁকে  কালন্তে হারিয়ে
আজো তাই হৃদয় খুঁড়ে।

আমাদের ছোট্ট পিঞ্জে বেঁধেছিল
প্রিতির বাসা সেইদিন—
মনে পরে নানি মার কথাও
আদর স্নেহ করিত বহুগুণ,
এখন নাই সে পৃথিবীর সশরীরে
কবে গিয়েছে চলে সব ফেলে একা
পৃথিবীর অহেতুক চিন্তার থেকে।

জানি না স্মৃতি গুলো কখনো মস্তক থেকে
পারিবো কিনা মুছে ফেলতে—
আমাদের দুদস্থ ভালোবাসা মরে গেছে
আজ নয় ঢের ব্যথা অন্তরে দিয়ে
আজো মনে পরে ঢের কথা
হারানো স্মৃতি স্মরনে কত যে।

এখন তুমি ব্যস্ত, জগত সংসার নিয়ে
হয়েছ কন্যা সন্তানের মা—
আমার আজন্ম কথা গুলি
পরে কি মনে তোমার?
কবে হবে এ জীবনের সাথে
আবার দেখা একদিন এই গাজীপুরায়
গাঙচিল শালিকের ভীড়ে!