আমি গাই গান যেন সেই গান যায়
বিকেলের আকাশ আর বাতাসের সুরে
দূর থেকে দূর আরও বহুদূর!
তুমিও পাও শুনিতে সেই গান
কাছ থেকে আরও কাছ থেকে—
তোমাকে দেখার মতো অতবড় চোখ নেই আমার
তবুও তুমি হৃদয়ে রয়ে গেছ কতোকাল।
নক্ষত্র গায় গান পৃথিবীর আকাশে
নীলকন্ঠ পাখি গায় সমুদ্রের দেশে
সমুদ্র শোনে তার স্বর গভীর গহ্বরে এসে!
যাদের হৃদয়ে করুণার প্রেম যন্ত্রণা দিয়ে গেছে
শতসহস্র আঘাতের চিহ্ন রেখে গেছে
বিরহিত গানে আজ কেটে যায় রাত্রিদিন।
কোথাও মানুষের ব্যথা রক্ত হয়ে ঝরে
শিশিরের মতো ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়!
তোমাকে দেখেছি সেদিন ঢের আগে
যখন পৃথিবীর বনে নেমে এলো অন্ধকার
সব ঘুম তবু নক্ষত্র এক আছে জেগে:
জোনাকির ঝিলমিলে জেগে আছে উত্তরের বন
গান গায় গান গায় কাহারে ভালোবেসে সে!
অসংখ্য অশ্বত্থ বটের ভীড়ে হৃদয় হারায়
কিংবা আকাশমণি ক্ষুধার্ত চক্ষু তৃষ্ণা মিটায়;
হীম ঘাস তারে রাখিয়েছে ঘিরে পৃথিবীর পটভূমির থেকে।
অবলঙ মন নক্ষত্রের সাথে আলাপ করে
নক্ষত্র তবু আধোঘুমে সিক্ত জোছনার বুকে!
এক সচ্ছ নিধূম প্রেম নিয়েছিল জন্ম তার
এসব অব্যক্তরূপে ঢের আগে জেনেছিল হৃদয়
তাই হিজল শীরিষের দেশে এখন ঘুম পায়।
নারী তোমারে ভালোবেসে জেনেছি আমি
নিখিল জগতে মৃত্যুর যন্ত্রণা কেমন হতে পারে?