বাংলার হৃদয়ে থেকে যাব আমি একা অনন্তকাল
ভাদ্রের রৌদ্রে পুড়বো
আবার সোনালী বৃষ্টিতে
দেহ ধুয়ে ফুটিব ধবল শাদা
ফুল হয়ে অরণ্যের ডালে!

কিংবা শঙ্খচিল হবো
উড়িবো বাংলার আকাশে ডানার ঝাপ্টায়;
কলমির গন্ধে কেটে যাবে
আমার অনন্ত রাত্রির ঘুম;
আমি থেকে যাব নীল বাংলার
ঘাস আর ধানের ভিতর!

চৈত্র পূর্ণিমার অপরূপে বসে বসে
গুনিব শুকতারা;
পদ্মা মেঘনা শীতলক্ষ্যার বুকে
বাঁধিব আমি ঘর;
স্রোতের হিল্লোলে ভাসিব
কচুরিপানা হয়ে;
আমি পিপীলিকার মত ছোট ছোট পায়ে
হাঁটিব বাংলার চৌদিকে
আমার হৃদয়ে গেঁথে আছো তুমি!

তোমার বুকের নিবিড় নিরালায়
তুলিব লালন বাউল গীত;
সেই সুরে হারিয়ে যাব
অই আকাশের জীবন মোহনায়!

আমি ভোরের মৃদুমন্দ কুয়াশার বুকে
আসিব মাছরাঙার ভেসে তোমারে খুঁজিতে;
শালিকের দু’চোখে দেখে দেখে
মিটাব আমার আত্মতৃষ্ণা;
পাখির কলরবে আমি মুগ্ধ হব
একা বসে নির্জনে!

দূর সমুদ্রের হঠাত্ গর্জন শুনে
আমি হারিয়ে যাব জোনাকির ভীড়ে;
নক্ষত্র গাহিবে গান স্বপ্নের আকাশে বাতাসে
পাহাড় বনানীর দ্বীপে এসে শুনিব
হৃদয় নিঙড়ানো বহতা স্বাদ!

আমি রাত্রির শিশিরের সাথে ঝরে
অঘ্রাণ ধানে জাগিব রক্তিম সূর্য গগনে;
আমি কখনো শিশু হব
কখনো বা বৃদ্ধ হব
আবার নারী হব পুরুষ হব!

আমি তোমার এক সন্তান হয়ে
তোমার গলে জড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকব;
জাগিব না কোনোদিন—
কোনোদিন আর জাগিব না!