আমি যদি অনন্তকাল বাংলার বুকে থেকে যেতাম
বাংলার অলপথে— বলিতাম ধূসর ভোরে—
লাউয়ের ধবল শাদা ফুল হয়ে অনুসূর্যের সাথে কথা।
বলিতাম ভোরের শিশির ঝরা ঘাস হয়ে
নীল ফড়িংয়ের সাথে কথা:
ঝিঁঝির মত এক সুদর্শন হয়ে
গাহিতাম গান মানুষের কাছে এসে!
আমি যদি অনন্তকাল বাংলার বুকে থেকে যেতাম
বাংলার অলপথে— দেখিতাম হলুদ রাঙা—
এক বিকেল নিঙড়িয়ে আসিতেছে দ্বারকাক।
দেখিতাম রূপসার ঘোলা জলে
একদল কিশোরের মাতাল স্নান;
নয়ন জুড়াতো কতকাল তাহাদের পানে চেয়ে থেকে
জানি নাকো এই বাংলার পারে আমি!
আমি যদি অনন্তকাল বাংলার বুকে থেকে যেতাম
বাংলার অলপথে— হাঁটিতাম পিপীলিকার মত—
গুঁড়িগুঁড়ি পায়ে হাজার বছর—
হাঁটিতাম ছোট্ট শিশুটির মত ম্লান হেসে ধুলে
সমস্ত উঠানে উঠানে মাটির নরম গন্ধ গায়ে মেখে।
আমি তবু চলে যাব এইসব ছেড়ে
কবেকার অন্তিম মৃত্যুর সাথে চুপেচাপে!