রূপা, পৃথিবীর দু’প্রান্তে দুটো জীবনের আর্তনাদ
যেন অস্পর্শী-বিমূর্ত মেঘের ডাক;
আজ স্থিরতা স্থবির হতে দেয় না
এক মুহূর্তের জন্যও দেয় না;
জীবনরে নিয়ে গেছে মৃত্যুর পরপারে
তারই খেসারতে সব মুখ থুবড়ে পড়ে আছে;
কতো আছে কতো নাই সবই হিসেবের খাতায়
খুলিলে পরে দেখা যাবে কতোটুকু খাঁটি ভালোবাসা;
মানুষ তবু সেই পুরনো প্রেম কুড়িয়ে লয় বুকে
বেদনার পায়ে অজস্র চুমু খেয়ে একদিন দুইদিন;
তারপর অনন্তকাল ঘুমিয়ে থাকে নিভৃতে
তার সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা ফুরিয়েছে বলে!
এক জীবনে এতো ব্যথা হৃদয় আমার পেয়েছে
যেন চুলোর অঙ্গার কাঠের ছাঁই;
শহরের পথ থেকে পথে আরও দূরে—
সমুদ্রের পারে আমি কাটায়েছি জীবন একাকী;
কোথাও দু’দণ্ড শান্তির স্থিরতা পাইনি
জানি পাবো না জীবন যে মরুভূমির প্রখর।
রূপা, বিন্ধিসার অন্ধকার কেটে গেলে ‘পর—
পুনরায় নতুন দিনের উদয় হয় ধীরে ধীরে?
য্যোতির আলোয় পৃথিবীর মানুষেরা গোসল করে
দেখে প্রিয়র হাসিমাখা মুখখানি কেমা পূর্ণিমা শশী।
আমি কেন ভালোবেসে রয়ে গেছি বহুদূরে
আমাদের কেন উদয় হয় নাকো একটি নতুন দিন?