এ জীবন বড়োই অসহায় বড্ড যন্ত্রনার,
কবে নতুন সূচনার জন্ম হবে
পৃথিবীর পথে নেমে আসবে একরাশ সুখ
সেই আশাতে এইদিন এইরাত চলে যায় প্রতিদিন
দু‘চোখের স্বপ্ন কবে যে গিয়েছে ভেঙে
আজও ব্যস্ত মন কেঁদে কেঁদে ফিরে চায়
স্বপ্ন গুলোরে কেবলই জোড়া লাগাতে!
জানি তবুও এই বেঁচে থাকা—
আমার বেঁচে থাকা নয়।
কোথাও জীবন ঝড়ে পরে অগাধ
কোথাও দুদণ্ড শান্তির পানে বেড়িয়েছে ঘর ছেড়ে
বিপুলা এই পৃথিবীর অনির্দিষ্ট পথে।
কি আর বলিবো জীবনের কথা,
থাক এইসব বাতিলের কথা আজ
তুমি শুধু নক্ষত্র আমার এ আকাশের পানে,
একরাত্রি পারি দিয়ে আরেক রাত্রির মুখ উজ্জ্বল করো
কিন্তু আমার জীবন তোমার মতো এরকম নয়।
আজ আমি রবেরে ভুলে গিয়েছি
আজ আমি স্রষ্টাকে ভুলে গিয়েছি
আজ আমি নিজেরেই নিজে ভুলে গিয়েছি!
আজকাল কেউ আমারে মনে রাখে না
মনে রেখেই বা কার কি লাভ?
জীবন মরন আমার দুয়ারে
তোমাদের পৃথিবীর কাছে আমি চিরকাল ঋণী!
সময় আজ বুঝি তুমি কত মহামূল্যবান,
তোমারে করেছি যুগে যুগে কারনে অকারনে ক্ষয়—
জানি পুনরায় তোমারে আবার সে
ফিরে পাবার সাধ্য আমার নেই
নেই সে ক্ষমতা—
যদি তবুও আবার ফিরে পাওয়া যেতো
হয়তো বা এই জীবন নতুন ভাবে শুধরে যেতো নেয়া!
এখানে ঢের মানুষ রাস্তায় ফুটপাতে
অন্ধকারে নীলিমায় বাতাসে জীবনের স্বাদ
তবুও শান্তি নাই রাত্রি পাহালে।
ট্রেনের ঝনঝন শব্দে
অমিয় পৃথিবীর গান আমি শুনি না
করে কাহার গান শুনে জুড়িয়েছিল পরান,
আজ শুধু ট্রেনের ঝলকানি ছাড়া এ জীবনে কিছু নেই
কবে জন্ম নিয়েছি শৈশব পেড়িয়েছি
তারপর কবে বড়ো হয়ে গেলাম
যেন সবই ম্যাজিকের মতোন।
গ্রীস, সিরাসিন, মিশরীয় সভ্যতা ফুরিয়ে
নতুন সভ্যতার জন্ম হল।
পৃথিবীর পুরনো সব চিত্র পাল্টে
কবে নৈব সূচনার পরিক্রমায় এগিয়ে গেছে
নেই শুধু আমার এ জীবনের পরিবর্তন।
থাক চাই না এ জীবনের পরিবর্তন।
এখানে আলো আছে অন্ধকার আছে,
একটা প্রদীপ জ্বলিতেছে গভীর আবেগে
সেও ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে চলছে,
আমার এ জীবনের মতোই
হায় প্রদীপ তুমিও বুঝি জীবন।
হাজার হাজার মানুষের আর্তনাদ
কোথাও চাকরি নাই বাকরি নাই অসংখ্য বেকার
জাতির কাছে আজ নির্লজ্জ শিক্ষিত যুবাদের দল
দেশ আজ শিকার করে নিয়ে গেছে বুনোশকুন
বালিশের উপর মানবের মাথা
তবুও নাই দুদণ্ড শান্তির ঘুম,
চক্ষে শুধু চারিদিকে নিরাশার ঘুম,
হৃদয়, আমরা তাকে ভুলে যাবো
সেই স্বপ্ন আর আকাংক্ষারে
যারা পুড়িয়েছে আমাদের দেহকে,
জানি বিপুলসংখ্যক মানুষের ভীড়
আজ আমাদের পরিস্থিতি অনিবার্যের কাছে
কিছুই করার নেই তবুও এক শান্তি আছে
খড়কুটো ছাউনির সেই ছোট্ট ঘর
এখন নেই এক সময় ছিল,
যেন সেই পৃথিবী একদিন হারিয়ে গেছে
যান্ত্রিক সভ্যতার নবপৃথিবীর গ্রাসে
মানুষ আজ দিশেহারা অহরহ
মানব আজ পৃথিবীর কাছে অসুস্থ
ঢের পিপাসায় কাটিতেছে দিন,
কোথাও ক্ষুধার নিবৃত্তি
কোখাও জীবনের পরাজয়
তবুও মানুষ বাঁচে-বেঁচে থাকতে হয় বলে!
আকাশ নীল কেবলই একটা চিল ঘুরে ফিরে
আরেক আকাশে পারি জমায়।
তবুও ব্যথা আছে কান্না আছে
কেউ তাহা শুনে-শুনে নাকো।
তুমি শুধু শকুনচিল আমি মানুষ
পৃথিবীর আকাশে সুখ খুঁজো
আমি খুঁজি মানবাত্মার ঘরে ক্লান্ত চোখে
তবুও সন্ধ্যা আসে এক সাথে আসে!—
তোমারে ভালোবাসি জীবনের মতোন
তুমি পাশে থাকো ছায়া হয়ে।
আমি গড়ে নিভো সুন্দর ভবিষ্যত
আজ নয় কাল হয়তো বা কিছুদিন পরে!