শিক্ষার্থীদের আন্দোলে পুরো বাংলা কেঁপে উঠছে
যেমন কেঁপে উঠে আচমকা শব্দে গাঙশালিকের ঝাঁক‚
চারিদিকে উত্তাল জনসমুদ্র ছাত্রদের হুংকারে‚
সকলেরই এক দাবি কোটা মুক্ত বাংলাদেশ চাই!
আমার সোনার বাংলা আজ বিশুদ্ধ নেই‚
সারাটিদিন উত্তপ্ত রৌদ্রে পুড়ে পুড়ে এখন শেষ বিকেল‚
অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের রক্তে রঞ্জিত হলো রাজপথ‚
স্বৈরাচারী হাসিনার রোষানলে বিপর্যস্ত আমরা!
প্রতিটা শিক্ষার্থী জীবনের মায়া ত্যাগ করে
নেমে গেছে ঘর ছেড়ে রাস্তায় অধিকার আদায়ে‚
পুরো বাংলা আজ থরথর করে কাঁপছে
আমরা তো চাইনি এমন রক্তপিপাসু বাংলা দেখতে।
কোটায় খায় দেশ মেধাবীরা নির্জনে ঠাঁই
বাংলার বুকে বুঝি আবার নেমে এলো বায়ান্ন!
রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাইদ
কি দুঃসাহসিক নির্ভয়ে নিজের বুক বিলিয়ে দিলো‚
প্রথম শহীদ হলো পুলিশের নিষ্ঠুর গুলিতে‚
বরন করে নিলো শাহাদাতের পেয়ালা আপনহস্তে‚
ও মরেনি ও বেঁচে আছে কোটি মানুষের বুকে।
হৃদয় ঝলসে যাক মোদের‚ ঝাঁঝরা হোক হৃদপিণ্ড
তবুও আন্দোলন মোদের সফল চাই রক্তে বাসুক দেশ
জ্বলে উঠুক মেধায় অঙ্কুরিত সারা বাংলাদেশ!
আমারই মতো আজ বিষন্ন নীলিমা বিকেলে জেগেছে
চারিদিকে রক্তাক্ত আভা ছড়ায়ে ছিটিয়ে বেশ
প্রতিদিনের মতো এ আকাশ আজ একরকম নয়!
হঠাৎ হঠাৎ হৃদয় ঝলকানিতে দুমড়েমুচড়ে উঠে
কোথায় কার লাশ আবার অনন্ত যাত্রায় ঘুমিয়ে গেল‚
কোথায় কোন বোনের দেহ ঝরে রক্ত ঝরলো‚
অসংখ্য শিক্ষার্থীর মুমূর্ষু শরীর হাসপাতালের বিছানায়‚
যেন আজ একাত্তরের অসুস্থ বাংলার পুনরাবৃত্তি!
আমরা চেয়েছি শান্তিপূর্ণ একটি কোটা সংষ্কার
কিন্তু পেয়েছি রক্তাক্ত কৃষ্ণচূড়ার বুদ্বুদ দেহের স্বাদ।
আর কতো রক্ত ঝরবে আমাদের ক্ষণেক্ষণে
ফিরিয়ে দাও আমাদের জীবন যেই রক্তে ভেসে গেছে দেহ
একটি নিষ্পাপ ফুলের মতো অনাগত ভবিষ্যত।