নাম তার পার্থীতা (নবম পর্ব)
//////////////////////////////////
কাঁপা গলায় মংলা মাসি ডাকে
কই গেলিরে পরী
বুড়ি হয়ে গেছি গতোরে আর
বল নেই তাই বলে কি খোঁজ নিবিনে চিত্তহারি।
মংলামাসি,গ্রামের তিন পুরুষের
আবাল বৃদ্ধ বনিতার সবার মাসি।
মাসির তিন কূলে কেউ নাই
একা থাকে তেমাথার বটের তলে।
এখনও দিনে রাতে বারোমাস
সমানতালে তিন চারটে গ্রাম দাপিয়ে চলে।
মাসি বলে একদম আঁতুর ঘর থেকে
তোকে নিয়েছিলাম কোলে
প্রথম দিনের কান্নার স্বর এখনও আছে মনে
সে কি করে যাই বল ভুলে।
আশেপাশের চার পাঁচটা গ্রামের আমি ধাইমা
সে কথা কেউ আজও অস্বীকার করে না।
সেই মংলা মাসি পার্থীতাকে
আদর করে ডাকে পরী।
বলে তোর জন্য একটা মেখলা আর
মুগা শাড়ি এনেছিরে ছুড়ি।
বিয়েতে অনেকে অনেক কিছু দেবে
অনেক দামি দামি শাড়ি পাবি
তোর জন্য আসাম থেকে এনেছি
এই মুগা শাড়ি।
আরে আমার দূর সম্পর্কের
এক ননদ আছে ডিব্রুগড়ের লিপিট কাটায়।
তাকেই একবার বলে ছিলাম কথায় কথায়।
অনেক সাধ করে এনেছি রে পরী
একবার পরিস খুব মানাবে লাগবে ভীষণ সুন্দরী।
আমার মনে খুব ইচ্ছে ছিল
জীবনে এক বার সেজেগুজে সুন্দরী হই আরো
মরদটা অকালে মোরে গেল
তখন বয়স কত হবে দশ বা এগারো।
মরদ গেল সাধও গেল সব কিছু স্মৃতি হয়ে রয়ে গেল।
কথায় কথায় মংলা মাসির চোখে এলো জল।
নিজে সামলে নিয়ে দুচোখ মুছে বলে তুই একবার পরিস তখনও পড়বে খুশির জল।
মংলা মাসি বেরিয়ে গেল
পরীর চোখও জলের ধারায় ঝাপসা হলো।
ক্রমশ......