যেন জোনাকি হয়ে বাঁচি
**************
ছিমছাম রাস্তাঘাট
সম্ভ্রান্ত আলো জ্বলে ঘরের দেওয়ালে দেওয়ালে
মন চেয়ে রয় পাখির চোখের মতো
অসময়ে ঘোলাটে কমলা গোধূলি
যেন গিলে খায় শহরের ম্রিয়মান রূপরেখা।
মন ব্যাকুল করে
পালাই পালাই ক্ষনিকের ভাব।
নিভৃতে নয়ন স্থির
প্রাপ্তিগুলো খেই হারিয়ে গেল
বোঝা পড়ার সময় নেই
ভয় আছে ক্ষয় আছে হয়তো
মনের মাঝে চাপা পচা যন্ত্রণাগুলো
সুখ দূঃখের বেড়াজালে মহীরুহ হয়ে দাঁড়িয়ে।
আর প্রাণ ভ্রোমরা
প্রান্তিক ঘাস ফুলের মতো দুলে দুলে যায়
কোঁকিয়ে কোঁকিয়ে উঠে ।
বিষণ্ন মন পেতে চায় ভিনগ্রহী প্রানের স্পর্শ
হাত বাড়ালে অধরা অসীম মহাশূন্য।
এই বাঁচা মরার গল্পে
গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত ও বসন্তকে
অন্তরের নির্জন ঠিকানায় রাখলাম
আর বললাম
সূর্য হতে না হয় নাই পারলাম
যেন জোনাকি হয়ে বাঁচি