একী অপূর্ব প্রেম দিলে বিধাতা
=====================
গাছটা পত্রহীন ফুলহীন ভরা শুষ্ক ডাল
নির্ভয়ে আছে পাখির নীড় পরশু আজকাল,
ঝড়ো হওয়ায়,বারী বদলে শুধু দোদুল্যমান,
নীড়টা যাচ্ছেনা উড়ে আঁকড়ে আছে আপ্রাণ।
কালো মেঘ গাঢ় হলো বুক চিরে
দেখা দিল বিজলীর করাল রূপ,
ঝড় বাড়লো বাসাটা উড়ে
যাওয়ার উপক্রম ,শুষ্ক ডালে শান্ত চুপ।
ঘনঘন আছড়ে পড়ছে বিজলীর হুঙ্কার ,
কালো দুর্বার মেঘের মুখ ভার।
বিহঙ্গর দল ইতস্ততঃ ছানাদের
দু ডানার প্রাচীরে আছে ঘিরে,
মহাকালের দাঁত,বিজয়ীর ডাক?
কালো মেঘের বুক চিরে।
প্রলোয়ি নেচে বেড়ায় মাথার
উপর দিন রাত প্রভাতে,
মনে শঙ্কা, দৃঢ় চঞ্চু, ডানা শক্ত,
শক্তি সঞ্চয় পেশিতে।
শুকনো পাতা গুলো ঝরঝরিয়ে
উড়ে গেল এক পলকে,
শুকনো ডাল গুলো হুড়মুড়িয়ে
ভেঙে পড়ল বিজলীর ঝলকে।
গাছটার উপর ঝড়ের উপর্যপরি
কষাঘাত,আঘাত দাপটে বয়ে গেল।
শির উঁচু,উন্নত মস্তকে,
নির্বিকার অবলীলায় সয়ে নিলো
বিহঙ্গরা আজ পরাশ্রয়ী,বাড়লো
সাহস,সঙ্গীরা এলো দলে দলে,
মহীরুহ কেমন করে ঘাত,
প্রতিঘাত,সয়ে চলে ঝড়ে দাবানলে ।
প্রভাত ফেরির গানে,উজান
ভাটির টানে মেঘ গেল কেটে,
কিচির মিচির গানে আলো এলো প্রাণে,
ডানা ঝাপটে গেল ঊষার স্রোতে ।
মহীরুহ হাসে,ভাবে ,টিকিয়ে রাখে
প্রলয়ে এমনি করে দিবারাতে।
সকাল হলো এলো নব্য ভদ্র
পোশাকি যুবকের দল,
খাতা কলম হাতে সরেজমিনে
গত রাতের ঝড়ের ফলাফল।
দাপাদাপি করে গল্প গুজব সেরে
ফিরে গেল বিধান দিয়ে শহরে।
কিয়োৎকাল পরে করাত হাতে বর্বরে ,
জায়গা গেল ভরে।
গলা ফাটিয়ে চিৎকার, করতে হবে
পরিষ্কার,মহিরুহের নাম এলো
বিচক্ষণতার সুরে।
এ যে বড় বিশালাকার !!
অবকাশ নেই আর করাতে দিয়ে ধার
কেটে দিলো তারে ।
বিস্ময়ে বিস্মিত বিহঙ্গের দল!
এরা মানুষ? উল্লাসে স্বজাতি,
প্রজাতির নির্বিচারে করছে বদল।
সর্বনাশের সাথে কাজ,
বিলুপ্তির পথে আজ।
কিছুকাল পরে হয়তবা জাদুঘরে
পাবে স্বজাতি,কিছু প্রজাতি,
শিশু পাঠ্যের পাতায় পাতায় সাজিয়ে।
চেয়ারে হেলান দিয়ে মুখ গুঁজে খবরে ,
চায়ে চুমুক দিয়ে,
করবে জ্ঞানদান রসিয়ে রসিয়ে।