ধূলি ধুসরিত পথে কাঁকরের সাথে
কেটেছে জীবন উত্থান পতনে আঘাতে আঘাতে
ঘাত প্রতিঘাতে অসহ্য দহনের শিখায়
মহীরুহ গেছে শুকায়ে দিনে দীনে দৈন্য দশায়।
ধুঁকে ধুঁকে আছে বেঁচে
কিছু পুষ্প পত্র হীন শাখা প্রশাখা
ভর করে বাকলে ঝিরঝিরে কাষ্ঠে
বেঁধেছে ঘর কিছু পরগাছা
বাস্তবের মাটিতে বিজ্ঞের চোখে যারা শুধু আগাছা।
তার সাথে আছে কিছু খগ বিহগের বাস
তারও আছে বেঁচে-
ধিকি ধিকি নিচ্ছে কোনো ভাবে শ্বাস।
দুপুরের কাঠ ফাটা রোদে
ঘনালো বৈশাখী মেঘ
গুরু গুরু স্বরে উঠলো যে জেগে
নিয়ে গেল আগাছা পরগাছা যা ছিলো সব।
অতঃপর
বাদল গেল সরে
রইলো পড়ে দূরে
ছোট্ট একটি আগাছা
বোধহয় নিয়তির এটাই ছিল মনবাঞ্ছা
আগামীতে হয়তো বা হবে কোনো মহীরুহ।