বুর্জুয়ার হাসি
/////////////////
লেগেছে আজ বিষম দোলা শস্য ক্ষেতের উপর,
আধা শস্য মাঠে মিশে গেছে
আধা মাথা তুলে আছে কোনো রকম।
চাষীর ফেটেছে মাথা, চিন্তার ভাঁজ কপালে,
আশঙ্কায় রাত কাটে কি আছে সকালে!

বইছে আজ দরদী স্রোত-
নেতা,অভিনেতা সংবাদ মাধ্যমের ঝরছে কুম্ভীরাশ্রু।
এসেছে সুবর্ণ সুযোগ বুকচিতিয়ে
গলা ফাটিয়ে প্রচার করার
আমি চাষীদের কল্পতরু।

চাষীর ছেলে চাষা হয়ে
জীবন কাটিয়ে দিল লাঙ্গল জোয়ালে,
নেতা,মন্ত্রী,পঞ্চায়েত থেকে জেলা সভাপতি
আরো কত সর্বগ্রাসী
ভাষণে ভূষনে আখেরে নিজেরা
গুছিয়ে নিলে।
অভুক্ত থেকে নিদারুণ ক্লেশে,
চাষী আজীবন চাষা হয়ে রয়ে গেল,
জোয়ার-ভাটা আসে নিয়ম করে
অমাবস্যা আসে পূর্ণিমা ঘুরে,
চাষীরা আজও আছে এই আশ্বাস বাণীর তিমিরে।

চাষী স্বপ দেখায়,স্বপ্ন কারো গড়ে,
নিজের স্বপ্ন ভাঙার শব্দ বাজে বুকের পাঁজরে।
সবুজ ক্ষেতে চেয়ে থাকে অস্থিচর্মসার দেহে
সুদিনের পানে বুক বেঁধে
সাম্যবাদের নীতিতে মাথা ধুয়ে
ঠাঁই হলো শ্মশানে।

বিচারের বাণী সাম্যবাদে কবে কথা কবে?
সেদিন কি কোনো চাষী ধৈর্য্য ধরে রবে?
চাষ রবে?
চাষী রবে ?
বুর্জুয়াও রবে?
সময়ের তালে ঝান্ডা তুলে?
না কি সাম্যের নামে যুগে যুগে
বাজবে বুর্জুয়ার বাঁশি।
থাকবে তলে তলে বুর্জুয়ার হাসি!!!