সন্ন্যাসী হত্যা-১-১-১
রিপন রায়
আমি ভেবেছিলাম পুলিশ যখন আমার কাছে আছে
সে নিশ্চয়ই আমাকে বাঁচাবে বাঁচিবে আমার প্রাণ।।
বিশ্বাস করো,সে থেকেও আমি মার খেতে লাগলাম।। নিরুপায় হয়ে দৌড় দিলাম, আমারও তো জীবনের মায়া হয় তাই না??
এ জগত হায় কে ছাড়তে চায় পৃথিবীর মায়ার বন্ধন ছেড়ে ।।
কিন্তু পারলাম না।। ওরা আমাকে লাঠি দিয়ে মারলো
জোরে জোরে আঘাত করলো মাথায় মারলো বাড়ি।।
তখনো আমার মুখে এক মধুর হাসি,আমি ভয়হীন ।।
জেনেছিলাম তারা আমার আপনজন আমার ভাই।।
ওদের সাথে এহোজীবনে ছিলনাতো আমার আড়ি।।
আমি ওদের লাঠির আঘাত সইতে পারলাম না গো।। মাটিতে পড়ে গেলাম।।ওরা আমাকে মনের সুখে মারলো
আমার মাথায় ঘাড়ে ও চোখেমুখে বাড়ি মারতে লাগলো
যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলাম।। মাথায় রকস্রোত বয়
তবু একটা পুলিশও আমাকে বাঁচাতে এলো না জানো!!
আমাকে ছেড়ে দিল মনুষ্যরুপী জানোয়ারগুলোর হাতে।
আমার কি দোষ ছিলো গো?কি দোষ ছিল আমার ??আমি গেরুয়া পোশাক পরেছিলাম ও আমি হিন্দু বলে!!
আমি সন্ন্যাসী সংসার ত্যাগী এটাই কি অপরাধ?? আমার মৃত্যু নিশ্চিত করে ছাড়লো ওরা নিশ্চিতে।। আমার মৃত্যু নিশ্চিত করে ওরা এখন খুশি তো?? তোমরা কি আমাদের জন্য একটুও কষ্ট পাবে বলোনা।।
ওদের কোনো জাত নেই ধর্ম নেই সমাজ পরিবার নেই
ওদের কি কখনো শাস্তি হবে না হে পৃথিবীর মানুষ??
তোমাদের সাথে এমন যেনো না হয় কখনো কোনোদিন ।।
ভগবান যেনো তোমাদেরকে রক্ষা করে ।।
জ্ঞান চক্ষু ফিরে পায় যেন ওরা চিরতরে ।।
দেশ ও সমাজের সার্বিক মঙ্গল প্রার্থনাই ছিল আমার কাজ ।।