নির্বোধ জাতি
রিপন রায়

আমি, তুমি, সে, ওরা, আমরা সবাই
দুঃসময়ের তরবারি পড়েছে মাথায়,
ইট কাঠ পাথরের দেশে
প্রতিদিন হয় হবে দিব শুনে
শিশু শৈশব কাঁচা আর বুড়োর
চুল ঝরছে আয় কমছে প্রহর গুনতে গুনতে।

 

ক্লান্ত শরীর, আধুনিক-ডিজিটাল দেশ, জয়নুলের রঙ তুলি
সড়কের ছবি, রঙ্গিন মৃত্যু, প্রেম চোখের ধূলি,
জনগন গণমানুষের দাবি বৃষ্টিতে ভেসে যায়
অজস্র ধারায় বৃষ্টি স্রোতে শেওলার মতো
শহীদ মিনারে মানববন্ধন ধর্মঘট  
রাজ পথে কাকন বিবির অনশন
কার কি তাতে আসে যায়।

 

অনেকে নিয়েছে রক্ত অনেকে তুলেছে ঘাট
অসহায় পিতার একমাত্র অবলম্বন নিল কেড়ে যে,
এক শতক জমির লোভ সামলাতে যে না পারে
জনগনের ত্রাণ করে যে চুরি-
গরিবের কাধেঁ পা তুলে ডাকে কল্যানের ডাক
তাকেই জাতি জানায় সুভেচ্ছা বাদ।

 

এ কেমন হে মোরা বাঙ্গালী?
স্বাধীনতা খর্বকায় মোরা চুপটি করে থাকি
চোখের সামনে মিথ্যা দেখেও
বাহ বাহ বলে চিৎকার করি,
জাতির পিতার এই কি ছিল স্বপ্ন!
কালো টাকার পাহাড় হাসতে হাসতে সাদা করি।

 

এই যে মোরাই বাঙ্গালি
ক্লান্ত গরিবের পরিশ্রম দিয়ে অন্যায়ের ইমারত গড়ি,
জনসমক্ষে হাসি আর
অন্তর কুৎসিত চেহারার প্রতিচ্ছবি।

 

স্বাধীনতার এতোটা বছর পরও !
কি বদলালি ?
ভেবে দেখ বাঙ্গালি আজও কি মানুষ হতে পারলি
নর পশুদের ভিড়ে আজও বাঙ্গালি এক নির্বোধ জাতি ।


রচনার তারিখ : ০১।০৩।২০২১ ইংরেজি