রাজার কুমারী মোরে বন্দিলো কারাগারে
অপরাধ কেন তারে বান্দিনু এ ডোরে।
মিছামিছি যত আশা
একচালে বাধা ঘর নাহিক ভরসা
মোর দেবালয়ে -
উড়াইবেন পবন, রহি তব নির্ভয়ে।
রাজার কুমারীর মত-
নেই উদ্যান অশ্বথ বৃক্ষ
অট্টালিকা সেনা - প্রহরী শত শত।
আছে মোর আলয়ে ধুলার তখৎ
সাগর পাড়ে হিংস্র প্রাণী যক্ষ
সন্ধিতে বাস নিঃশ্বাসে জুড়ায় বক্ষ।
কুমারী জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা-
বীরশ্রেষ্ঠ বীর মেঘনাদ খঞ্জরী হাতে-
ছুটিল , এ দেহ মোর লুটাবে মাটিতে
রক্ষ কুললক্ষী প্রর্থনা করি
ক্ষীণপ্রাণ লয়ে কর আবরি।
ভুজবলে ইন্দিরা মেঘনাদ করে নিবারে
বাঁচিল প্রাণ তবুও কারাগারে।
ক্রন্দিত হৃদয় পিড়িত অনাহারে প্রহারে
আভাসিত বরাঙ্গে উলাঙ্গিয়া তিমিরাগারে
কুমারী জড়াইলো বাহুডোরে প্রভঞ্জন বলে
চৌদিক পাহারায় কন্টক প্রহরী
সংকটপূর্ণ জীবন না ভাবি ভবিতব্য
বিক্রমে কেশরী।
গভীর রজনীতে তিমিরাগারে
-শোণিত রঞ্জে আঁখি
স্থল স্তন তনু দেখে নাউজবিল্লা-
সব প্রপঞ্চের ফাঁকি।
ইষৎ দৈবাতে শুধাইলো শশি প্রিয়া
বান্ধি লও ডোরে করে লও হিয়া।
কুসুম কুমারী সুনেত্রা ত্রিভবনজয়ী
-মিলবেনা দুয়ী
সপ্তছড়ি মুক্তাছড়া হৃদয়ে পরিছে-
কালজয়ী।
রচনাকাল : ০৪/০৮/২০০৯
প্রকাশকাল : ০১/০৮/২০১৯ > যশোর বেজপাড়া।
পৃষ্ঠা-২২