কখনো মায়ের বুকে আমি ঘুমন্ত শিশুর মত
কখনো বীর সৈনিক হয়ে আমি শত্রুকে করি ক্ষত
কখনো বৃষ্টি হয়ে ঝরে আমি ফুটায় ফুল
কখনো সুনামি হয়ে দেশদ্রোহীর আমি ভাষাই কুল
কখনো ভবঘুরে হয়ে উপভোগ করি আমি চির সবুজ
কখনো দেশমাতার বুকে মাথা রেখে আমি চির অবুঝ
কখনো দেশকে ভালবেসে আমি মৃত্যুকে করি বরন
কখনো বিষাক্ত তীর হয়ে শত্রু জানকে করি হরণ
কখনো আমি ভোরের সূর্যের মতো হয়ে যাই শান্ত
কখনো মরুদ্যানের তাপদাহের মত আমি হয়ে যাই অশান্ত
কখনো আমি শান্ত নদীর বুকে বয়ে চলা বহমান জল
কখনো আমি অশান্ত হয়ে ছুটে চলা সুনামির অতল
কখনো আমি দোয়েলের ডাক ময়ূরের পেখম মেলা পালক
কখনো আমি বজ্র কন্ঠ হয়ে ছুটে চলা কোন এক ঝলক
কখনো আমি কিশোরীর চাহনিকে শান্ত দুটি চোখের পলক
কখনো আমি অশান্ত হয়ে ছুটে চলা বজ্রের এক ঝলক
কখনো আমি ব্যস্ত কৃষক চাষ করে যাই জমি
কখনো আমি যোদ্ধা হয়ে রক্ষা করি মাতৃভূমি
কখনো আমি পল্লী বালার পায়ে বেজে ওঠা নুপুরের শব্দ।
কখনো আমি যুদ্ধ জড়ানো শত্রুদের করি জব্দ।
কখনো আমি খুঁজে বেড়াই এই বাংলার বুকে আমার বাস
কখনো আমি শহীদের রক্তে ভেজানো কাফনের লাশ
কখনো আমি বাউলের বেজে ওঠা একতারা ওই সুর
কখনো আমি জাগ্রত বিবেকের হয়ে উঠি এক ফোটা নূর
কখনো আমি অসহায় হয়ে ঘুরি তোমাদের ধারে
কখনো আমি যুদ্ধে নামি জীবন নদীর পারে
কখনো আমি ঘুড়ি ওড়ানো শৈশবের সেই খেলা
কখনো আমি জোসনার আলো ফুরায় যখন বেলা
কখনো আমি প্রকৃতির মাঝে থাকি লুকায়িত
কখনো আমি প্রকৃতির দূষণ রোধে করি উৎসাহিত
কখনো আমি মুক্ত আকাশে ডানা মেলা পাখি
কখনো আমি কারাবন্দীর জলভরা দুটি আঁখি
কখনো আমি গণতন্ত্র কখনো আমি সন্ধি
কখনো আমি স্বৈরাচারী শাসকের হাতে বন্দি
কখনো আমি দেপান্তরের মাঠের ঐ পথ
কখনো আমি বাহমান নদী কখনো বা নদ
কখনো আমি মায়ের সেলাই করা সেই নকশি কাঁথা
কখনো আমি ৩০ লক্ষ শহীদের সেই জীবন গাঁথা
কখনো সুখ হয়ে আমি দুঃখকে দেই বাধা
কখনো আমি অভাগীর জীবনের সেই গোলক ধাঁধা
কখনো আমি নিষিদ্ধ পল্লীর হাতে হাতে বদলানো বালিকা
কখনো আমি আদর্শবান হয়ে জ্ঞান ভান্ডারে চালিকা
কখনো আমি নিশ্চুপ রাতে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা শিশু
কখনো আমি এতিমের ভাই অসহায় মায়ের সবকিছু।