অশ্রু সজল নয়ন দুটি
কাঁদিছে আজ ধরনী মাতা,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থের তরে
সোনার ছেলেরা করিছে যাতা।
করে দলাদলি করে হানাহানি
ঝরে যায় শত প্রাণ,
যার স্তন্য পান করে বাঁচে
তারে করে অপমান।
আমার উপরে হায়নার থাবা
পড়েছে বারং বার,
ভীনদেশীদের নখের আঁচড়ে
দেহ মন ছারখার।
বঙ্গ ভঙ্গ ভেঙে ফের রদ
ক্ষুয়েছে আমার মান,
লক্ষ সোনারা মাকে ফিরে পেতে
অকাতরে দিছে প্রান।
পাক-বাঙালীরা বিভাজনে গিয়ে
বিষিয়ে দিয়েছে দেহ,
যখন যারা ক্ষমতায় যায়
শুধু আমারে করে হেয়।
আমার ছেলেরা নানা কৌশলে
চালায় গলাতে অসি,
কেউবা মাকে রক্ষার তরে
শক্ত হাতে মসি।
কাটা ছেঁড়া করে কত নাম দিল
স্বার্থ পুরাতে তাতে কিবা পেল?
মায়ের গাত্রে তাজা খুন ঝরে
দেখনা নয়ন মেলি।
তোরা হারামজাদা হায়নার দল
খুব বেশী শয়তান,
মায়ের কোলে ঠাঁই নাই তোর
তুই বড় বেইমান।