আমি দীর্ঘদিন একটি ভূতুড়ে শহরে ছিলাম;
সন্ধ্যা নামলেই ঘন অন্ধকারে ডুবে যেতো উঁচু-উঁচু দালানগুলো এবং
এখানকার নাগরিকরা সন্ধ্যার পরে কেউ ঘরের বাহিরে বের হতো না —
রাস্তায়, মার্কেটে এমনকি স্টেশনে সন্ধ্যার পর জনবিরল।

কিছুদিন পর আমি একজন প্রবীণ নাগরিককে জিজ্ঞেস করলাম,
এখানে কি সান্ধ্য আইন জারী করা হয়েছে ?
তিনি আমাকে কিছুই বলেন নি! কিন্তু তাঁর ঠোঁটে
একটি রহস্যপূর্ণ মৃদু হাসি ছিলো ;
এমন অদ্ভুত পরিবেশে আগে কখনো অভ্যস্ত ছিলাম না
আমি বুঝতে পারছি না আমার ভিতরে ভয় না কি
কৌতুহল কাজ করছে ;

একদিন হঠাৎ সন্ধ্যার আগেই অবচেতনে ঘুমিয়ে ছিলাম;
জানালা খোলা ছিলো, মধ্য রাত, ঘুম ভেঙে দেখলাম,
বাহিরে আবাছা আলোয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো লম্বা জুব্বা পরিহিত
একজন বৃদ্ধ লোক নিঃশব্দ চরণে হেঁটে যাচ্ছেন এবং
তাঁর পিছু-পিছু নিষ্প্রভ ল্যাম্পপোস্টের ঝুলন্ত লাইটের মতো অজস্র ভুতোড়ে মুখ।
তখন আশ্চর্য হয়ে ভেবেছিলাম — আমি কতোটা না নির্বোধ!
ভূতের কাছেই ভূতের খুঁজ করেছিলাম।