সেদিন কোর্ট পাড়ায় -
দৃষ্ট ধূলি-মলিন ধূসর ছেঁড়া বসন কায়,
এক অধবা প্রৌঢ়া নারী উদবেগ-নেত্র চঞ্চলা
সিঁদূর শূন্য টেড়ি, হাতে নাই শাঁখা-পলা।
একে একে পঁচিশটি বসন্ত অতিক্রান্তে এই পতিহারা রমনী,
আজো পেলোনা সুরাহা শুধু শুনানির পর শুনানি।
যার এক চোখে  সুবিচারের আকুল অনুরোধ,
আর চোখে সংবৃত ক্লিষ্ট ব্যাথা সঞ্চিত ক্রোধ।
তবু অপেক্ষায় ন্যায়ালয়ের অলিন্দে অনির্ভর নয়ন;
ধর্মাবতার! ধর্মাবতার বলে বুকে উঠে মন্দ্রিত গর্জন।

কে শোনে কার আকুল আহুতি!
সত্যকে মিথ্যায় আর মিথ্যাকে সত্যের ক্রুতু আরতি।
সত্য মিথ্যার বাটখারায় সত্যের গলে উদ্বন্ধন-রশি,
সত্যকে গ্রাসে মিথ্যা হাসে পুষ্পের হাসি-
এই ন্যায় মন্দিরে,
সংখ্যাতীত কত মোকদ্দমা জরতি ইতিহাসের মত -
আজো অন্ধকার কুঠিরে পাষাণ পুঞ্জে ঝুলন্ত।

আলো-আঁধারী!
অর্ধেক আলো আর আর্ধেক অন্ধকার শ্যামঘন,
এখনো পৌঁছেনি উদ্দিষ্টে সত্য-সূর্যের তেজস্কর কিরণ।
এই ন্যায়ালয়ে -
কোথায় ন্যায়াধীশ- ন্যায়দূত, কোথায় সে ন্যায় দেবতা?
কে জ্বালে সত্য-দীপ্র? কই সে সত্যপূজারীরা সত্যব্রতা!
আজ সত্যের যজ্ঞে মিথ্যার জয় সত্যের মহাপ্রয়াণ!!



তাং-০৯-০৬-২০২২ খ্রীস্টাব্দ

উৎসর্গঃ  মমতাময়ী মা শ্রীচরণেষু ইন্দিরা দেবী।