গত শতাব্দীর প্রথম দশকে কবিতার শরীরে
একধরনের জীবাণু প্রবেশ করে,-
পরবর্তী আরো দুই দশক অতিক্রান্ত হলো
কবিতার দেহের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে তীব্রতায়
এই জীবাণু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ;
চতুর্থ দশকে কবিতার বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়
পঞ্চম দশকে এসে এই ক্ষতের পরিধি আরো
প্রশস্ত ও গভীর হতে থাকে;
তৎসময় গোটা বিশ্বে এক বিরাট পরিবর্তন দৃষ্ট,-
উদ্ভাবিত একদল নবাগত বিশেষজ্ঞের জ্ঞানের স্পর্শে
অভিনব শৈলীতে নিত্য নতুন আবিষ্কার ক্রমবর্ধমান
অবশ্য এদের কেউ-কেউ এ-ব্যাপারেও ভিষক ছিলেন;
ষষ্ঠ দশকে তারা কবিতার নিরাময়ের প্রচেষ্টা চালান
টানা তিন দশক ধরে প্রগাঢ় পর্যালোচনা, বিশদ-বিশ্লেষণ
চুল-ছেঁড়া গবেষণার মধ্যে দিয়ে ;
অবশেষে শতাব্দীর শেষ দশকে এসে সিদ্ধান্ত নেন,-
কবিতার শরীরে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন -
অতঃপর একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে মুমূর্ষ কবিতাকে
অপারেশন থিয়েটারে এনে,-
আধুনিকতার ভোঁতা ছুঁরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে-কুপিয়ে
অদক্ষ কবিতা-বিশেষজ্ঞ  কাব্য-সার্জনরা কবিতার শরীরে মর্মান্তিক জখম করেন ;
অবশেষে কবিতার মৃত্যু হয়, এক ভয়ানক মৃত্যু!
অথচ অদক্ষ বিশেষজ্ঞরা অর্থাৎ নতুনধারার সাহিত্য সম্পাদকরা কবিতার নৃশংস খুনকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার-উল্লাস করেন!!