নিগূঢ় রাত
আমি ঘুমের মধ্যে বিভর স্বপ্নে বিচরণ করছি,
নিঃসঙ্গ একটি পর্বতশৃঙ্খে।
দূরের ধোঁয়া ও কুয়াশা থেকে উদ্ভাবিত নীল বর্ণের গগনচারী
একটি অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দিচ্ছে সমস্তস্থান;
আগুন্তক উন্মত্ত আগুনে
আমি সব কিছু পুড়ে যেতে দেখছি স্বচোক্ষে!
আমার সমস্ত সত্ত্বা রাতের প্রবল অগ্নি-বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে ;
এই পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি
আমাকে অন্য পৃথিবীর সন্ধান দিচ্ছে।
আমি প্রচণ্ডরকম অস্থির হয়ে উঠছি!
স্বপ্নের ভিতরে দেখতে পাচ্ছি  আরেকটি স্বপ্ন;
এই নিঃসঙ্গ পাহাড়ে পদ্মের মতো উঁকি
দেয়
আমার ঘুমন্ত যৌবন, ভীরু কপালে ফুটে উঠেছে দুর্দান্ত সূর্য
যা আমার রক্ত কণায় প্রজ্জ্বলিত হচ্ছে- তেজস্কর রশ্মিতে।
আমি আরো, আরো প্রচণ্ডরকমভাবে অস্থির হয়ে উঠছি
অসহায় মানুষের পাংশু মুখ,
আর বিধ্বস্ত স্বাধীনতার অবয়ব দেখে!
আমি পাপিয়ার কণ্ঠে শুনতে পাচ্ছি উদ্দম রণ সংগীত-
আমি স্বপ্নের ভিতরে অন্য স্বপ্নে সম্পূর্ণভাবে অস্থির!
ভাবছি,আমি যদি এখন এই স্বদেশটাকে অস্থির করে তুলি—তাহলে কি হবে?
আচ্ছা, আমি কি এই স্বদেশকে আমার মতো অস্থির করে দিবো?
অস্থির ঝাঁকুনিতে ঝরে পড়বে জনস্বার্থ বৃক্ষ থেকে অনেক পাতা  
যার মধ্যে  লুকিয়ে আছে সংখ্যাতীত সর্বহারা এবং নিঃস্ব মানুষ
যুদ্ধবাজ এবং ফ্রন্টলাইন বাহিনী,
রাখাল এবং বিশ্বস্ত নাগরিক,
নেতৃবৃন্দ এবং  মুক্তিযোদ্ধা।