আমি হরণ হয়েগেছি আমার মনের রঙ্গিন বনে,
হে বন্ধু খোঁজে দাও না মোরে পথের নিশানা।
আমি ত অরণ্য একা, পাখালির সুলোভিত-
কন্ঠে মুগ্ধ মন, কিন্তু অপ্রত্যাশিত জন্তুর কঠিন
থাবা ভয়, আমার হৃদয়কে আক্রান্ত করে ফেলে।
একাকী হৃদয় কুঞ্জনে তোমার প্রেম আলিঙ্গনে,
বলিষ্ঠ হয়ে সামনে দাড়াতে পারতাম প্রতিবাদে।
ফেরা হতো নতুন পথে, নতুন সুখের উচ্ছ্বাসে;
হে বন্ধু তুমি কি জান? ‍তুমি নেই তাই একা,
নীরবতার অকণ্ঠে পথ চলা নিজের মাঝে নিজে।
মাঝে মাঝে পাবক জ্বলে উঠে  আশায় মশালে,
তোমায় নিজের করে পাওয়া সেই অরণ্যে।

থমকে যাই, আবার উন্মাদ, বিভোর চেতনায়,
এখানে না হয় আমি পালগ, তুমি কি পথের বাহিরে?
হেটেছে মন তোমা-র বনে, প্রেমের স্রোতের প্রলোভে,
প্রাবাহী মন ভাটির সাতারে যেতে যায় বহূ দূর।
হারিয়ে যেতে চাই, মিশে যেতে চাই প্রেমের সাগরে,
তুমি ঢেউ হয়ে আমার মাঝে গেজে থাকলেই হবে।


রজনী গন্ধা আবেগে ছড়িয়েছে কত সুভাস,
মিশ্রিত বাতাস দিয়ে যায় আমায় উপহার।
আমাকে ত নিতেই হয়, গোপনে, স্বপনে,
তুমি যদি নিতে প্রকাশ্যে দিবলোকে গন্ধ স্বাদ,
মহাদান হত প্রেম মনোরমা তুমিও কম্পিত হতে,
হতাম আমিও, ভাসিতে তুমি আনন্দ প্লাবনে।

হওয়া কি যায় না হে প্রিয়, পাশা-পাশি,
কাছা-কাছি বসবাস একই মনের মিলন বনে?