ইচ্ছে ডানায়, ভাসতে ওরে মনটা শুধু ব্যাকুল,
তবে দেয়নি ধরা, করতে বন্দি মনের কারাগারে।
ইচ্ছে ডানার পালক আলোরণ বাতাসে ঝিলমিল করে উঠে,
জানি এটা হৃদয় স্পন্দন, তোমায় দেখা দৃষ্টির অনুভূতি।
কোন এক খেয়ালে আঁখি না জেনে তোমার পানে শুধু তাকায়,
সেই তুমি, যার দৃষ্টি লোভে আঁখি পর্দা ফেলেও দেখে।
বিকেলের পরন্ত ছায়ার মুক্ত বাতাসে,
ভবন মাথার শূন্য মাঠে, হেটে হেটে তুমি সেই কিশোরী,
কিসের আশায়? এক পলকে;
আবার লোকো-চুরি। কে বলেছে? তাকাই নি ত! তবে?
উপ্ত ভালো লাগা, ভালোবাসার স্বাদে,
হৃদয়ের চরণ ভূমি ভেদ করে জেগে ওঠে স্বপ্নের বাগান;
পত্র পল্লবে ব্যাস্টিত মুকুলে ফুটা ফুলের পাপরি,
দুল খেতে চায় হে প্রিয় জানি, দু-জনার ব্যগ্র মনে।
উচাটন ভাষায় ঠাসা ঠাসা এ মন, একাকী নীরবে,
জানি না, কোন খেয়ালে?
অপ্রকাশিত শান্ত কন্ঠ গুলো বার বার জ্বালাতন করে,
বিবক্ষার তরে, তবে অসহায়, যদি না তোমার মনে ধরে।
সন্ধি পরে অন্তরঙ্গ শ্রাবণের শান্ত বারি দ্বারা
ভালাবাসার শুদ্ধ কন্ঠে বায়স না হয় গাইবে অসময়ে,
সময়ের ভালো লাগার প্রাণ জুড়ানো মধুকর সুরে,
ভালোবাসি হে প্রিয়, আমি তোমায় ভালোবাসি।
বুকের নদীতে জোয়ার বয়ে আসবে সেই প্রাণবন্ত ভালোবাসা;
আকাঙ্ক্ষার কিস্তি ভাসিয়ে মনের বইঠা বেয়ে,
ঘুরে আসবে অনাবিল সুখের ঠিকানায়। হে প্রিয় দুজনাতে।