দিন যোগে মাস যোগে বছর পেরিয়ে আবারও দিন যোগে মাস,
সেদিন চুপিসারে একটু দেখায় ভালো লাগা, ভালোবাসার অপরাধে
তোমার প্রেমের কারাগারে বন্দি হয়ে গিয়েছিলাম।
মুক্তির জন্য যুক্তি তর্কের উকিল ধরবেও পারিনি,
তাই আজও মুক্তি পায়নি আমার স্বাধীন ভালোবাসা।
সেই পরিস্থিতির আড়াল থেকে গোপনে সন্ধান করেছি,
মুক্তির কোন ফন্দি পাইনি খুঁজে।
সন্ধিটা শুধু এত টুকু তফাৎ, আজও বলতে পারিনি,
সখী, আমি তোমায় কাঠালের আঠার মত ভালোবাসি।
আমার মুখ থেকে জানতে পারলে হয় ত সস্তির সাথে মুক্তি দিতে;
না হয় পাশাপাশি হতো দুজনার প্রেমের কারাগার।
তুমি আশ্রিত বাদি ও না বলা প্রেমের যন্ত্রনার খোরাক,
জানোও বটে, আমি তোমায় ভালোবাসি, তবে কেন?
কেন স্বেচ্ছায় আপোষ হও না? তাতে তুমিও ত মুক্তি পেতে,
কেন বল না প্রিয়, না বলার যন্ত্রনার কারাগারে নয়,
তুমি আমার এই হৃদয়ের কারাগারে বন্দি থাকবে আমরণ।
জানি, তুমিও আমার মনে বন্দি হয়ে আছ,
আমার মতই নিচ্ছ সুখের পরশ, নীরব রেখে সারা।
যখন তুমি আড়াল হও, আমায় কষ্ট করে তাড়া।
তবুও,
শুদ্ধ পুরুষ বলেই পাঁচকান করতে চাই না, আমি প্রেমের আসামি,
এটাও চাই না, নব যুগের আনন্দ ধারায় ভালোবাসতে।
আধুনিক কায়দায় কাউকে সঠিক ভাবে ভালোবাসা যায় না।
এ যুগে, রাতে বিয়ে, সকালে ডিভোর্স আবার দুপুরে এনগেজমেন্ট
এই জীবন ধারায় আধুনিক সম্পর্কের পিরামীড।
মুহুর্তের আনন্দ ছাড়া জীবনের সঠিক সুখটা অনেকেই চায় না;
তাই প্রকৃত ভালোবাসা আজ প্রায় মৃত।
তুমি আধুনিকী না সনাতনী এই ভেবে হয় না বলা,
হগো প্রিয়, আমি তোমায় ভালোবাসি।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা ভুল হলে সমাধানে সাহায্য করবেন এবং পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।