আমি একটা নিশ্চিত সু-গন্ধ পাচ্ছি, বায়ূ বয়ে সবার প্রাণে,
কিঞ্চিৎশ হলেও গুজে আছে সবার মাঝে।

উৎসব, ঈদ-উল-আজহার উৎসব।
অকিঞ্চন আত্মাটা এক মস্ত বড় আশা ধারণ করে আছে,
পরে আছে সেই মেটো পথের ছোট গাঁয়।
পথটুকু পারি দেওয়া বাকী, স্ব-জন মাখা প্রেমের আনন্দে,
উজ্জীবত, সমবেত প্রাণের আলিঙ্গন মঞ্চে।

অপেক্ষা,
সেই থেকে খোকা-খুখি বাবা-মার, বাবা-মা বাধন ছেড়া দেহের।
আখের মঙ্গল গুছাতেই, ছেড়ে আসা হয়।
কর্মক্ষেত্রে সবাই সৈনিক, দূর হতে বহু দূরে বা আকাশ পারি,
কষ্ট, ত্যাগ, আকাঙ্ক্ষা, সবই প্রিয় জনে জন্য।

অবগাঢ় মনটা পরিস্থির বাধনে ক্লান্ত হয়ে পরে, মেনে নিতে হয়,
অনল মেনে নিতে হয় অন্নদাতার অধিকারে।
গড় মিল সব কিছু মিলে আবার মূখরিত হয় ঈদের উৎসব আনন্দে,
মনের সাথে মন, মিশে একাকার হয়ে যায়।

উৎসব,
সবাই সমাগত, সমবেত, সমাদ্রিত, সমান সঞ্চয়ী প্রেম আত্মা,
উৎসবে মূখরিত, উল্লাসে কম্পিত প্রাণ।
সবাই ভোগ করে খন্ডে খন্ডে, ভাগা-ভাগি, অফুরন্ত খুশির বান,
ছুটে আসে দূরন্তের কিনারায় প্রিয় মাষের কাছে।

এই আনন্দ পেতে এবং দিতে, ফেরার পথের দূর্ভোগের কথা
ভুলে য়ায়, জীবন হারাবে ভয় নাই।
রাস্তার মরন কল, পারি দিয়ে ঈদ হবে সবাইকে নিয়ে ঐ গাঁয়ে,
সব প্রাণে মিশে মিশে ঈদের আনন্দ হবে সঞ্চার।

উৎসব জাগাতে ছুটে আসা প্রাণটা যেন পথে ছিটকে পড়ে নায় যায়,
আখি যেন না ভিজে প্রিয় জন হারানো বেদনায়।
সবাই যেন মিশতে যেতে পারে ঈদ খুশির মোহনায়, হে দয়াময়,
তুমি রেখ প্রভু রহমতের নজরের নিশানায়।