দুঃখদের করুনা
রিয়াদ মোর্শেদ
আমার দুঃখগুলো ছুটি চাই,
অন্তত একটা মৌসুম ছুটি?
পনের বছর একটা মাঠে খেলা করতে করতে ওরা ক্লান্ত,
আনন্দ মাঠ এখন নিরানন্দের চর।
ওরা ছুটির জন্য আসফাস করছে, অন্তত একটা মৌসুম।
মাঠও নাজুক, এবড়ো থেবড়ো, সবুজ ঘাসের আলো নিভে গেছে,
তামাটে বরন এই মাঠ এখন মূমুর্ষ যন্তনার এক মরুভূমি।
অবশ্য মাঠ মালিকের জন্য ওদের দারূন মায়াবোধ জন্মেছে,
নিরবিচ্ছিন্ন পোড়াতে পোড়াতে ওরা করুনাও করে এখন।
করুনা কিসের? পোড়াও, বলেছি কখনো? পোড়ানি আর সয়না!
পোড়াও ইচ্ছে মত; তোমরা যে আমার প্রেম সরলার আপন হাতের উপহার।
হায় দুঃখ তোমরাও আমাকে করুনা করো
সব কিছুতেই করুনা; আর ভাল্লাগে না!
ভালবাসাতে এই করুনা দেখে দেখে
কোমল হৃদয় শামুকের মত শক্ত খোলসে গুটিয়ে নিয়েছিলাম
করুনা ওয়ালার করুনা নেই, তোমরা সবে ঝাপায়ে পড়!
অন্তত একটা মৌসুম ফাগুন ধারার সুখ এসে
মাঠখানি পরিপাটি হোক সবুজ ঘাসের বুকে অন্তত একটা প্রজাপতি বসুক
ক্ষতের মাঝে ক্ষতের দাগা দিতে দিতে ঘৃনা জন্মে গেছে ওদের।
সপ্রতীভ আশার বুকে আগুন জ্বালতে ওদের বড় আনন্দ,
এ বুকেতো এক চিমটি আশাও নেই; শুধু শূন্যতার হাহাকার !
দুঃখ করোনা দুঃখ তোমাদের চির ছুটি দিয়ে দেব
ঘন্টিওয়ালার ঘুম ভেঙ্গে যাবে খুব শিঘ্রই,
তার আভাস পাচ্ছি আমি খুব, খুব করে শ্বাস আর প্রশ্বাসে
যাবার বেলায় প্রেম সরলাকে শুধু বলে যেও;
আমার প্রানহীন এই নিথর দেহের খবর।