অভীষ্ট কোন কিছুর প্রতি তাগিদ ছিলো না ভিতরে
চিরকাল ঘর ছাড়া আমি প্রেম ছিলো না কোন আশ্রয়ী-
ছায়া শীতলের সাথে,
মায়াবী মায়ায় কেটেছে কেবল শ্রান্তিহীন বুনো বেদনাদের।
বকুলের গন্ধের মতো ভালোবাসা কেউ কেউ ফেলে গেছে-
বন পথে,উদাসীনতায় হয়তো নিয়েছি ঘ্রাণ গায়ে মাখিনি;
হৃদয়ের ভিতর ওরকম কোন ঘর হয় নি আপনার করে।
হয়তো কারো চোখে জ্যোৎস্না ধারা দেখেছি- বোধ হলো না কোন এরকম শীতল প্রেমের আলো তার চোখে আর দেখবে না কেউ কখনো।
এখনো কেউ কেউ ফিরে আসে জানালায় উঁকি মেরে দেখে
তার জন্য আমার হৃদয়ে কোন ঘর ছিলো কি- না- আছে কি না! এক অন্বেষী বালার চোখ কপালে উঠেছিলো! হৃদয়ের ভিতর এতো এতো ঘর দেখে বাড়ি ভরা ঘর;- প্রত্যুত্তরের আশায় খুঁজতে গিয়ে দেখি নেই কিছু নেই ছাই গাদার পালান ও নেই- এক বদ্ধ জলাশয়ের মজা অন্ধকারে আলেয়ার মেলা ছাড়া আর কিছুই নেই তেমন হাতের রাখীর কোন ছায়া নেই,জল নূপুর নেই, নেই কোন নীল শাড়ি- জাফরানি কামিজ, লেস ফিতা,হেয়ার ব্যান্ড, কারু- চারু হাত বালা,অন্তর্বাসের কোন আদর নেই শুধু শাখা আর সিঁদুরের বোবা কান্না সমেত বেদনার শঙ্খধ্বনি।
ওসব কখনো গায়ে মাখি নি ছন্নছাড়ার রাজ্যে
এখনো কেউ কেউ পাগল কইয়া ডাক দিয়া কান্নাদের ভিজাইয়া দিতে চায় আমার আগুন চোখে,
যেখানে তোমাদের মন পোড়ে আমার ঘর পোড়ে বাড়ি পোড়ে আমার সমস্ত পোড়ে;- অভীষ্ট- আশ্রয় ওরকম কিছুই নেই আমার; বন- পাহাড়ের ঝর্ণা ধারার মতো ও রকম সমুদ্র অভীষ্ট লেখা নেই আমার নিয়তির খেরোখাতায়।