মেঘেদের দুরন্তপনার এই বৈশাখের বোবা রাত্রে
নবগঙ্গা থেকে হাওয়া উঠে এসে খেলা করছে চরাচরে,বৃক্ষের বুকে মৌমাছির মতো দোল খেয়ে খেয়ে।
রমজানের চাঁদ গোলাপের মতো ফুটেছে- তার আলোয় দেখছি পাখির বাসার খড়- কুটোর দোল খাওয়া;- একাকী নিঝুম- শিহরনের রাত্রে,
যে পথ ধরে যে দিকে হাঁটছি এই কালো পিচের পথ
ছায়া-সবুজের নিতম্ব- বক্ষদেশের গলিপথ বেয়ে চলে গেছে তোমার বাড়ির দিকে।
এই কালো পিচের পথ তোমার শৈশব থেকে শুঁয়োপোকা আর প্রজাপতি হওয়ার কাব্য গ্রন্থ মেলে ধরে নিঝুমে বিচরণে,
তোমার গন্ধ মাখা কবিতা পান করি সরাবের মতো কবি হয়ে।এই পথে কতো হেঁটেছো আমিও হেঁটেছি হাতে হাতে একসাথে - নিয়ে গেছে অনেকটা পথ আমাদের। এখন কেবল তুমি হাঁটো অথবা অটো করে চলে যাও,এখন কেবলি আমি হাঁটি অথবা রিকশা করে চলে যায়,এই আমি আর তুমি- আমরা হবো না কোনদিন! অথচ রাস্তা আমাদের সাথে হাঁটে -দৌড়ায় নিঃশব্দের রাত্তিরে কবিতা শোনায়
তোমার মর্নিং ওয়াকিংয়ের বন্ধু হয়।
তুমি ও আমি একাকার না হলেও আমাদের ভালোবাসায় একাকার হয়ে গেছে এই কালো পিচের পথ।