তুমি ছিলে আমার রৌদ্র দিনের পানকৌড়ি

শীতল আবহে কেটে যেতো খরাকাল,

তোমার বক্ষদেশীয় বিভাজিকার পথরেখায় বয়ে যেতো

সুমেরু হাওয়া মাখা   ঢেউ- কলরবমূখর নবগঙ্গা,

স্নানের তৃপ্তিতে আমি হৃদয়- শীতল মানুষ হয়ে যেতাম।

জলকেলির গন্ধ মেখে ছন্নছাড়ার মতো ঘুরে বেড়াতাম-

মরু মরু পথে ; খরাকাল কাটিয়ে দিতাম প্রেমদ খেয়ালে,

একজোড়া চোখ ভেসে থাকতো একজোড়া জল গন্ধা ডানা

এক-সজল নদীর মায়া কী এক আছন্ন সুখের খেলা!

তুমি নেই তাই মেঘেরাও অভিমানী- আকাশেই জুড়েছে সংসার,পাখির মতো ওড়ে এদেশ ওদেশ আঁকে  চূড়ায় চূড়ায়

চুম্বন ;- যে তারে খোঁজে তারে দেয় না মন- তোমার মতন।

দুপুরে যে দুঃখ ফোটে তার কি আছে কোন কূল?

তোমার চারু মুখে এখনো কী ফোটো প্রিয় দুপুরের ফুল!

কে এখন শুয়ে আছে এই তপ্ত শ্রাবনে ও পথরেখার শীতল ফোয়ারায়- নাকি কেউ নেই তেমন- নেই কোন জলকেলির গন্ধ, কেবলি সামাজিকতার ঘুঙুর পরে শুয়ে আছে তোমার

নিথর- নিঃসঙ্গ দেহ কোন মানুষের বুকের পরে অথবা সে তোমার বুকের চৌকাঠে  প্রেম ধুয়ে মুছে।