হরিণ অতি মায়া-ময় মোহনীয় প্রাণী,
সুন্দর বনে করে বাস আমরা জানি।
দিনভর কোলাহল করে বনময়,
টানা টানা চোখ দুটি দেখে মায়া হয়।
গাঁয়েতে ফোঁটা কাটা বিচিত্র রূপ,
চিত্রা হরিণ নাম তার দেখতে অপরূপ।
অপরূপ ও রূপ দেখে চেয়ে রই অপলক
বনমাঝে শোভে যেন বনের আলোক।
অতুলনীয় রূপ তার অতি মায়াময়,
ত্রস্ত পায়ে ছুটে বেড়ায় সুন্দরবন ময়
লতা পাতা ঘাস খায় খায় বনফুল,
অপরূপ রূপ তার নাই তার তুল।
শত্রু তার বন ত্রাস রয়েল বেঙ্গল,
ধেয়ে এসে ধরে খায় বাঁধায় গন্ডগোল।
প্রতিদিন দু একটা ধরে ধরে খায়,
বাঘের ভয়ে ত্রস্ত পায়ে দৌড়ে পালায়।
ভাগ্যহীন হরিণ বাঘেরহাতে পড়ে মারা,
গোগ্রাসে খেয়ে হাসে দেয় বন পাহারা।
বাঘ যদি না থাকতো সুন্দরবন মাঝে,
লোকে বন কেটে করতো উজাড় সকাল সাঁঝে।
বাঘ মামা সুন্দরবনের প্রকৃতির প্রহরী,
প্রতিদিন দু একটা খায় হরিণ ধরি।
খাবার হয়ে পরক্ষে রক্ষে সুন্দরবন,
সুন্দরবন রক্ষে আবার বঙ্গবাসীর জীবন।
বন অভাবে দক্ষিণবঙ্গ হয়ে যেত উজাড়,
সুন্দরবন ত্রাতা মোদের রোখে ঝঞ্ঝা ঝড়।
সবশেষে অবশেষে বলি শুনো দিয়া মন,
চিত্রা হরিণ আছে বলে আছে সুন্দরবন।
ইদানিং নিশিদিন শিকারির বেড়েছে উৎপাত,
হরিণ শিকার করে তারা পেতে রেখে ফাঁদ।
বাঘ খায় দু-একটা অন্যেরা থাকে নিরাপদ,
বাঘ থেকেও ব্যাধ ব্যাটা কঠিন আপদ।
জনগণ হও সচেতন বাঁচাও হরিণ,
হরিণ বাঁচলে বন বাচবে রইবে শুভ দিন।
সবাই মিলে রুখতে হবে হরিণ শিকারি,
সুন্দরবন আজীবন রক্ষা করা অতি দরকারি।।