দারীদ্রের কাছে প্রতিভা আজ আধমরা
ক্ষুদ্বার্থ আমার পায়ে পরিয়েছে জিজ্ঞির,
হাতে পরিয়েছে নিষ্ঠুর হাত কঁড়া।
দরীদ্রের কাছে প্রতিভা আজ আধমরা,
ক্ষুদ্বার নিদারুন কষ্টো চরিত্রকে
আজ করেছে নষ্ট, আমি নষ্ট, আমি নষ্ট।
দেখেছি আমার দুনয়নে ছয় মাসের,
শিশু সন্তান শ্রাবনীর ক্ষুদ্বার্থর করুন চিৎকারের কান্না।
অনাহারে আর দারিদ্রের নিষ্ঠুর কশাঘাতে,
কেটেছে আমার দিন রজনী।
দুচোখের জল সেদিন গড়িয়ে পড়েছিল
বিধাতার পায়ের নিচে,
তারপরও সে আমাকে এতটুকু দয়াও করেনি।
পয়সার অভাবে এক তোলা দুধ কিনে,
আমার কোলের শিশু সন্তানকে রোজ খাওয়াতে পারিনী।
অর্থের অভাবে পারিনী তাকে দুফোটা ঔষধ খাওয়াতে।
জামা-কাপড় ও শাড়ীর অভাবে শ্রাবনী আর মরুনয়নীকে নিতে পারিনী, সরদার বাড়ীর বৌ ভাতের দাওয়াতে।
পারিনী তাকে বাসর থেকে এই পর্যন্ত ভাল
একটা খাবার খাওয়াতে।
ভাল কাপড় জামা পরাতে।।
জরা র্জিনো আমাকে করেছে ছিন্য ভিন্য,
অভাব আমার সংসার ভেঙ্গে করেছে ছুরমার।
এখন আমি নিঃসঙ্গ নিঃস্তদ্ধো বৌরি যুবক
অবাগ হয়ে তাকিয়ে আছি বিধার প্রানে,
সুুনিল আসমানের নিচে এখন আমি
বেচে আছি-বড়-একা।
মরুনয়নী-শ্রাবনী ক্ষুদ্বার্থের কশাঘাতে জরার্জিনো
রোগে ভূগে এই পৃথিবী নামক স্থান থেকে চিরকালের জন্য
আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে।
শ্রাবনী আর কোন দিন এক ফোটা দুধের জন্য
আর কাদবে না,
মরুনয়নী রোগে ভূগে বিছানায় শুয়ে
আর আমাকে ঔষধের জন্য জ্বালাবে না।
ওদের ব্যাথা এবং কষ্টের নিষ্ঠুর স্মৃতি নিয়ে,
আজও আমি বেচে আছি
অসান্ত ভাবে, এই পৃথিবীতে,
একা-বড়-একা স্মৃতির দুয়ারে আজও দাড়ীয়ে আছি
আমি দারীদ্রের স্বিকার এক কাল্পনিক মানব।