"বৃষ্টি তুমি ঝরো"
আহা! ঝুম বৃষ্টি
কোমল হাওয়া দিচ্ছে চুম
ভারী মিষ্টি।
বৃষ্টি তুমি ঝরো
ফোঁটায় ফোঁটায় ভালোবাসা
ঝরতে থাকুক আরো।
------------------
"চোখের কালিতে"
চোখের নীচের কালিটুকু
তোমার ক্লান্তির সাক্ষি দেয়,
নির্ঘুমতার কথা বলে সাবলীল;
কারো কারো অনুমান হয়তো
বড়ো কোনো অসুস্থতার প্রতীক।
আমি দেখি তোমার স্বাধীনতা
আমি দেখি তোমার সাহস
তোমার ক্লান্তিহীন পথচলা।
তোমার বাস্তবাতার গল্প
লেখা আছে ওচোখের কালিতে।
--------------------------
তার জন্য মায়া ভীষণ
কখনোই সে ছিল না আপন
তবু কেন তার জন্য মন
ব্যাকুল এতো, বড়ো উচাটন
----------------------
তোমার চোখে চেয়ে আমি অন্ধ
ভুলে যাই শত যুগের দ্বন্দ্ব
তুমি আসলে পাই সুখ সুখ গন্ধ
আবার চলে গেলে মনে হয়
এই কপালটাই মন্দ...........
--------------------------
দিন শেষে রাত
যেমনই কাটুক
যতই খারাপ হোক হাল,
ঘুম ভেঙ্গে
যখন তোমায় দেখি
আমার শুভ সকাল।
-----------------------
"কঠিনেই বসবাস"
সহজেই পেতে চাই সবকিছু
তুমি-আমি-আমরা সবাই,
শেষে কঠিনের কাছে মানি হার
কঠিনেরেই বাসি ভালো, কঠিনেই বসবাস।
-------------------------
"চাঁদকে ছোঁব না"
আমি চাঁদকে ছোঁব না
আমি চাঁদে যাবো না
তোমার চোখে চাঁদের আলো
আমি ফিরে যাবো না।
আমি জলে নামবো না
আমি জলকে ছোঁব না
তোমার বুকের শীতল জলে
আমি ঘুমিয়ে রবো না।
আমি ফুলকে ছোঁব না
আমি গন্ধ নেবো না
তোমার গায়ের গন্ধে বিভোর
আমি কোথাও যাবো না।
--------------------
"বৃষ্টি দিন"
একদিন হোক না বৃষ্টি দিন
ঝর ঝর বিরামহীন
রাস্তা ডুবে যাক হাঁটু জলে
একদিন হোক না কর্মহীন।
উষ্ণতার বেদম বাড়াবাড়ি
বিদ্যুত শেডিংয়ে আহাজারি
একদিন হোক না বৃষ্টিদিন
কিছুটা তো স্বস্তি পেতে পারি।
----------------------
"এখন আমি কারো না"
কিছু কিছু সময় একান্ত আমার
কেবল আমারই
সেই সময়ের মধ্য দিয়ে একা চলি
একা করি বাস
আমি সেই সময়ের মধ্যে আছি
এখন আমি কারো না
আমার কবিতারও না
----------------------
"একটুকরো চাঁদ"
ঘরময় একটুকরো চাঁদ
আমার খুশিরা আজ ভেঙেছে বাঁধ,
অনেক অপেক্ষা ছিল তার জন্য
অবশেষে আমায় করেছে ধন্য।
-------------------------
"বালক বেলার ক্ষুদে কাব্য"
(১)
এতো বেশি রাগ কেন করো
আমার কষ্টে আনন্দ পাও কী?
ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে আমি
তুমি সে হাত ফিরিয়ে দেবে কী?
(২)
লক্ষীসোনা রাগ করোনা
তোমায় দেবো চাঁদের কণা,
চাঁদের বাড়ি তোমার বাড়ি
ভেঙে ফেলো আজকে আঁড়ি।
(৩)
কাছে আসো আদর দেবো
লাল ঠোঁটের শিশির হবো
চোখে তোমার ঠোঁট ছোঁয়াবো
বুকে উষ্ণ নিঃশ্বাস হবো।
(৪)
বস ছিল তাই ধরোনি কল
বুঝিনি তাই আমিও অবিচল।
একটু কী কমলো অভিমান?
ওগো সোনা ওগো আমার জান?
(৫)
জল ঝরার কারণ আমি?
এ কি কথা শোনালে তুমি?
তোমার বিরহে আমার
হৃদয় মরুভূমি।
(৬)
তোমার বিরহ কভু দাওনা বুঝতে
নিজের মতো করে থাকো ভাবতে
আমি কী পেরেছি যেতে তোমার ভেতরে
দরোজা তো সদাই রেখেছ বন্ধ করে
(৭)
দরোজায় যখন নেড়েছি কড়া
তুমি তো সখি দাওনি ধরা।
আমি তো ভেতরে যেতে চাই
গভীর ভালোবাসায় হাবু ডুবু খাই।
(৮)
ভালোবাসায় একা কী পাড়াতে পারি সাঁকো?
একটিবার বুকে টেনে ভালোবাসি বলো।
--------------------------
"অসুখ"
কিছু অসুখ
হায়! ভীষণ লাজুক,
পথ্য হাতে সামনে তুমি
তবু আমি ভীষণ ভাবুক।
এমন অসুখ
হলেই সুখ,
তবু আমি পথ্য পেতে
হয়ে আছি ভীষণ উন্মুখ।
-------------------
"তোমাকে ভেবে"
তোমাকে ভেবে পুলকিত হই
নীরবে মুগ্ধ হই, স্নিগ্ধতায় ভাসি;
চোখ তুলে তুমি তাকিয়েছ বলে
আমার আকাশ ভেঙ নামল এই বৃষ্টি।
তোমাকে ভেবে কাজে মন দেই
আবার তোমার কথা ভাবতে ভাবতেই
ভুল করি, শুরু থেকে আবার শুরু করি;
সবকিছু গুছিয়ে আনি আবার হই অগোছালো।
তবু তোমাকে ভেবে ভেবে যত আনন্দ
তোমাকে ভেবে ভেবে ভুলে থাকি দ্বন্দ্ব,
তোমাকে ভেবেই বিভোর হতে চাই
তোমাকে ভেবেই ভেবেই বিশুদ্ধ হতে চাই।
----------------------------
"শাড়িতেই তোমায় লাগে ভালো"
কন্যা! শাড়িতেই তোমায় লাগে ভালো,
আমার সাথে যাবে?
একবার ঘুরে আসি চলো।
কপালের টিপও দেখছি কালো,
কী করে মেলালে এমন?
এই কবির দৃষ্টি আটকালো।
বেণী করা চুলে সর্পিল চলো,
পায়েও কী পরেছ নূপুর?
এই কান ছন্দ ছুঁয়ে গেল।
চোখের নীল তোমার মন নাচাল,
কী মেখেছ নয়নে তোমার?
আমার ছাব্বিশ বছর হারালো।
----------------------------
"বাঁধা পড়েছি"
রূপের ঝলক
দেখেছি একপলক,
চোখ বুঝে
দেখছি অপলক।
নাকের নোলক
সে যাই হোক,
বাঁধা পড়েছি
-------------------
"তুমি"
বড় আপন তোমার জন্য খোলা বাতায়ন
চোখের আড়াল হলে পরে মন উচাটন।
আমার তুমি কৃষ্ণচূড়ায় রঙিন ফাল্গুন
ভালোবাসার পান্তা ভাতে এক চিমটি নুন।
রুক্ষ দুপুরে আমার তুমি স্বস্তির বিকেল
এই চৈত্রের খরতাপে পৌষের হিমেল।
সেথায় আচনক।
-----------------------------------
"হঠাৎ বৃষ্টি"
এই শহুরে কংকিটের আঙিনায়
হঠাৎ বৃষ্টি হলে পরে বালিকারা স্নানে মাতে,
লাল-নীল-সাদা-বেগুনী-চোখে ভালোলাগার মতো
এমন শত রঙের পরীরা নামে বৃষ্টিময় ছাদে;
নীলিমা! এমন মিহি বৃষ্টিতে পা ভেজানো
তোমারও বহু দিনের অভ্যেস...
জানালায় দিগন্ত ছোঁয়া দৃষ্টিতে
তোমার বৃষ্টিস্নান দেখে দেখে
মুখস্থ আজ দেহের স্বরলিপি।
তোমার চুলভেজা ঝর্ণার জলে
শালিক হয়ে ভিজেছি বহুবার,
বৃষ্টিধোয়া চোখের কাজলে ঢেকেছি
হৃদয়ের যতো অসুখ-অচিন কষ্টের ঢিপি।
এই হঠাৎ-হঠাৎ বৃষ্টি হলে পরে
তোমার কেবল জল প্রাপ্তি..
আমার প্রাপ্তিটুকু আজও তোমায় বলতে পারিনি।
-----------------------
০৫.০৭.২০১৪