হয়ত একে আমরা ছন্দ বলি, আবার বিপর্যয়ও বলি।
তার শব্দ আমাদের কানে বাজে, কিন্তু তার উৎস অজানা।
সে এসে ঘরের এক কোণে বসে থাকে,
তারপর দেয়ালে দেয়ালে আঁকে অসীম শূন্যতার মানচিত্র।
আমরা তাকে কাছে ডাকি, কিন্তু সে এসে দূরে বসে।
তার সুর আমাদের ভরায়, কিন্তু শূন্যতা ছড়িয়ে দেয়।
সে কাছে এলেও বিপদ, দূরে গেলেও অনস্তিত্ব।
তার স্পর্শে আনন্দ বয়ে যায়, আবার দগ্ধ হওয়ার ভয়ও থাকে।
অন্য সব সুর থামলেও তার সুর বেঁচে থাকে।
সে ক্রমাগত আমাদের নিয়ে চলে এক অপূর্ণতার ভেলায়।
তারপর কখন যেন সময় ফুরিয়ে যায়।
আমরা টের পাই, তার সেই শূন্যতার সুর হারিয়ে গেছে
অনন্তের অপরিসীম কালছায়ায়।