১.
চেয়ে দেখি আকাশ পানে,
নক্ষত্র শুধু পথ দেখায়।
আমার মন জুড়ে আঁকা,
অচেনা সেই অবিনশ্বর হাত।
সে-ই তো শাশ্বত,
সবার ওপরে আছেন যে।

২.
জীবনের স্রোতে ভাসি,
আমিত্ব ছেড়ে দিতে পারি।
আলো হাতে কেউ যেন বলে,
চল আমার সঙ্গে,
সীমার মাঝে খুঁজে নাও,
অসীমের ঘর।

৩.
বাতাসে কান পাতি,
শুনতে পাই প্রকৃতির ভাষা।
জীবন এক ধ্যান—
শান্ত নদীর মতো বয়ে যাওয়া।
নিজেকে পেলে, পাই তোমাকে।

৪.
ধূপের গন্ধে মিশে থাকে,
অজানা কোনো ডাক।
মুক্তি কি বাইরে খুঁজছো?
তোমার ভেতরেই সোনার মাকড়সা,
যার জালেই বেঁধে আছে সত্য।

৫.
গভীর রাতে নীরব ধ্বনি,
অন্তরে বলে, "আমি আছি।"
আলো অন্ধকার মিলে যে পথ,
তার শেষে একটাই ঘর—
অচেনা অথচ চেনা।

৬.
সবাই খুঁজছে পরমাত্মা,
আকাশ, নদী, মন্দিরে।
তবু কান পাতো হৃদয়ে—
মহাশূন্য শুধু সেখানেই কথা বলে,
অদেখা সত্ত্বার চিহ্ন রেখে যায়।

৭.
শূন্য হাত বাড়িয়ে দেখি,
বাতাস ভরে তুলি।
এ জীবন, এ সত্ত্বা,
সবই তোমারই দান।
যা কিছু হারাই,
তাই তো ফিরে আসে।