রাতের আঁধারে রাস্তার ধারে হাটছি আমি একা
কিছু পর পর পাচ্ছি শুধুই অসহায়দের দেখা
রাস্তার পরে বস্তা বিছিয়ে শুয়ে আছে তারা সবে
জানিনাতো এই অসহায়দের দুখ কবে শেষ হবে
শত শত জন কেউতো তাদের নেয়না একটু ঘরে
ক্ষুধা নিয়ে রাতে শিশু ও জননী চিৎকার করে মরে
চরম ক্ষুধায় জনম দুঃখিনী হতেই পারেনা সোজা
হাসি-খুশিহীন কাটে রাত-দিন সারাটি বছরই রোজা
এ রোজায় ভাই ঈদ নেই কোন, ঈদের দিনেও তারা
পেটের ক্ষুধায় বসে থাকে আর ঘিরে রাখে কান্নারা।
কই কই সেই ভণ্ড নেতা ভোটের আগে যে বলে!
'ক্ষুধার্ত আর থাকবেনা দেশে আমি যদি নেতা হলে'
হয়েছিস নেতা কই কই তোর সেই সে ওয়াদাখানি
এখনো দেখি ক্ষুধায় মানুষ ঝরায় চোখের পানি
এখনো দেখি চিৎকারে শিশু গভীর রাতের শেষে
আবার শুনি গরীব দুঃখীরা থাকবেনা আর দেশে
'গরীব মুক্ত দেশ হবে এটা' হায়রে ফালতু কথা
এসব শুধুই চালাকি মাত্র ক্ষমতা নেওয়ার প্রথা।
চল দেখি আজ কে করে রাজ কে এই সমাজ-মাঝি
গরীব দেহের রক্ত চুষে কে আজ হয়েছে হাজী
কে নামাজী নামাজ পড়ে গরীবী খাদ্য কেড়ে
তাদের কথাই লিখবো আজি দ্রোহের আগুন ছেড়ে
গরীব দুঃখীরা কই কই তোরা শিঘ্রই ছুটে আয়
জাহান্নামের অগ্নি জ্বালা এই সারা দুনিয়ায়
আকাশ কাঁপানো শ্লোগান দিয়ে ওঠরে জেগে তোরা
জালিম রাজার মসনদ ভেঙে বুকেতে বসারে ছোরা
ভয় নেই আজ আমার কলম লিখবে তোদের তরে
সুবহে সাদিক, সূর্যটা আর উঠবে ক্ষাণিক পরে।