সন্ধ্যা বেলা হাটছি একা নীরব থাকা বনে
দিঘীর জলে শাপলা দেখে পড়লো স্মৃতি মনে
শাপলা যেন জিজ্ঞাসিলো 'তোমার প্রিয়া কই?'
শাপলাফুলের দিকে এবার অবাক চেয়ে রই
পাশে থাকা কদম্ব গাছ উঠলো আবার বলে
'কোথায় কবিপ্রিয়া তুমি দ্রুত আসো চলে'
সত্যি যদি আসতে তুমি কতই ভালো হতো!
বনের সবাই থাকতো খুশি তোমার আমার মতো।
আসলে তুমি ভালবাসা দিতাম দুহাত ভরে
অনেক ভালবেসে তোমায় নিতাম আপন করে
অমাবস্যায় হাত ধরতাম দেখতোনাতো কেহ
নীল আকাশের নীল শাড়িতে জড়িয়ে দিতাম দেহ
সবুজ চাদর আনতে যেতাম সবুজ গাছের কাছে
শিউলী আবার বলতো ডেকে 'মালা গাঁথা আছে'
শিউলী ফুলের সেই সে মালা দিতাম খোপার পরে
দুজন মিলে ঘুরতে যেতাম সাগর পাড়ের চরে।
আবার যেতাম মেঠোপথে সবুজ ঘেরা বনে
তোমায় দেখে বলতো সবে 'তুমি সবুজ কনে'
মনে মনে হাসতাম আমি একটু রাগের ছলে
মান-অভিমান করতাম অনেক ভালবাসি বলে।
আবার যেতাম পাহাড় পরে রাঙাতে প্রেম-ভুমি
পাহাড়বাসী বলতো আবার 'পাহাড় কন্যা তুমি'
আগের মতোই হাসতাম আমি, আমার হাসি দেখে
একটুখানি রাগতে তুমি ভালবাসা মেখে
আমি আরো রাগিয়ে দিতাম আবার হাসি দিয়ে
রাগের ছলে আসতে তুমি ভালবাসা নিয়ে
কপট রেগে বলতে আমায় "এ্যাই তুমি কেন হাসো?
মারবো তোমায় আজকে তুমি আমার সাথে আসো।"
আসতাম আবার সাগর পাড়ে নামতে সাগর জলে
সাগর এবার বলতো তোমায় ভয় দেখানোর ছলে
"ফর্সা দেহে নীল শাড়িতে খোঁপায় শিউলীমালা
সাগর পাড়ে কেগো তুমি? নয়তো সাগরবালা?"
সাগরের এই ভয়াল সুরে উঠতে কেঁপে তুমি
ভয়ে আমায় জড়িয়ে ধরে হঠাৎ দিতে চুমি
আবার আমি আগের মতোই দিতাম একটু হাসি
তখন বুঝতে তোমায় আমি কত্তো ভালবাসি।