শত বছর আগে -
এই বাংলার পুষ্প শোভিত বাগে
ফুটেছিল অনন্য এক ফুল,
প্রতিটি বৃক্ষের পাতায় দুলেছিল,
মহা বিপ্লবীর আগমনী দুল।
তখনও জালিম ব্রিটিশ শাসক, ক্ষমতার মসনদে,
অত্যাচারিত প্রজারা, বঞ্চিত পদে পদে।
ঠিক সেসময় মুজিব এলো, টুঙ্গিপাড়ার কুটিরে,
শুভাগমনে ধন্য করলো, সুজলা সুফলা মাটিরে।
রত্নগর্ভা সায়রা খাতুন, ধারণ করলো মানিক
লুৎফর রহমানের প্রদীপের আলো, ছড়ালো দিগ্বিদিক।
শিশুকাল থেকেই বিপ্লবী চেতনার, সাহস ছিলো মনে,
তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতো, সোনার দেশ গঠনে।
অন্যের দুঃখে দুখী হতো সে, খুশি হতো আনন্দে,
মানবিক কাজে ছুটে যেতো খোকা, মানুষের ভালো-মন্দে।
সবার আদরে বেড়ে উঠলো, প্রিয় মুজিব ভাই,
ব্যতিক্রম ছিলো সেই ছেলেটা, অন্যের তুলনায়।
যুবক বয়সেই জেল-জুলুম, নির্যাতনের আঘাত,
দমে যাননি জীবনের কাছে, দেননি প্রত্যাঘাত।
গণমানুষের মুখে মুখে ফেরে, শুধুই একটি নাম,
হৃদয় জিতে হলেন 'বঙ্গবন্ধু' চারদিকে জয়গান।
এই বাংলার প্রান্ত পেরিয়ে, বিশ্ব দুনিয়া মাঝে,
শোষিতের নেতা পরিচিতি পেলেন, অবিস্মরণীয় কাজে।
একটি আঙুলে সাতকোটি মানুষ, হয়েছিল একাকার,
ভিত কেঁপেছিল মানুষরূপী, নরপিশাচ হায়েনার।
পতাকা পেয়েছি লাল-সবুজের, হয়েছি স্বাধীন বাংলা,
বীর যোদ্ধাদের বীরত্বের স্লোগান, নজরুলের 'জয় বাংলা।
সদ্য স্বাধীন বিধ্বস্ত বাংলাদেশ, মাত্র সাড়ে তিনবছরে,
জাতির পিতা নিয়ে গেলেন, সম্মান মর্যাদার উপরে।
পরাজিতদের ষড়যন্ত্র, দীর্ঘ কূটকৌশলের খেলায়,
আগষ্টের ১৫ তারিখ, রচিত হলো কলঙ্কিত অধ্যায়।
বাংলা হারালো অমূল্য রত্ম, বিশ্ব হারালো নেতা,
মৃত বঙ্গবন্ধু আরো শক্তিমান, আমাদের জাতির পিতা ।।