নিশুতিরাতের নির্জনতায়
যখন একা থাকি,
'বাবা 'বাবা' বলে শুধু
চিৎকার করে ডাকি।
শুনেনা বাবাটা আমার মনের
করুণ আর্তনাদ,
১২টি বছর পেড়িয়ে গেছে
বাড়ছে আঘাত।
কিছুদিন আগেই পেড়িয়ে গেছে
সবার খুশির ঈদ,
সবাই ভেসেছে আনন্দেতে
আমি গাইছি দুঃখের গীত।
চোখ ভিজে এক মহা সাগর
গড়িয়ে পড়ছে জল,
সান্ত্বনা দেয়ার কেউ তো নেই
ভীড় করে কষ্টের দল।
ঐ যে দূরে তাকিয়ে দেখি
কে যেন উঠোনের মাঝে,
বসে আছে চেয়ার পেতে
ভিন্ন রকম এক সাজে।
পা দু'খানা ফেলে হাঁটছি
চুপিচুপি নির্ভয়ে অজানায়,
আবছা আলোর মিছিল দেখি
হরিতকী গাছের তলায়।
গোল হয়ে বসে আছে
চারপাশে আরো কয়েকজন,
সবাই আমার চেনামুখ
এই বাড়িরই রক্তের স্বজন।
অবাক হয়ে ভাবি এরা
কেউ তো বেঁচে নেই!
কি ব্যাপার? কি নিয়ে আলোচনা?
করছে সকলেই।
খাবার-দাবার ও চলছে বিরতিহীন
সবাই খুশমেজাজে,
আড্ডার ফাঁকে কাওয়ালী গান
গাইছে মাঝেমাঝে।
কেউ একজনের হাততালিতে
খুলে গেছে চোখের পাতা,
গভীর ঘুমের ঘোরে এতোক্ষণ সব
দেখেছি কল্পনার খাতা।
দৃশ্যগুলো যদি একবার
বাস্তব রূপে ধরা দিতো,
বাবা হারানো সন্তানদের
দুনিয়াটা পাল্টে যেতো ।।