একটা সময় শিশু ছিলাম
সোনালী শৈশব কৈশোর,
বাড়ন্ত বয়সে সবই ছিলো
ভালোবাসা আনন্দ আদর।
হারিয়ে যেতাম অনায়াসেই
তেপান্তর পেড়িয়ে,
ছুটে বেড়াতাম বিশ্বটাকে
হাতের মুঠোয় নিয়ে।
বটবৃক্ষকে কুর্নিশ করে
এগিয়ে গিয়েছি সামনে,
ঘর থেকে দুটি পা ফেলেছি
জন্মদাত্রীর চরণ চুমে।
চটের থলেতে বই মুড়িয়ে
গিয়েছি বিদ্যালয়ে,
মানুষ হয়ে বের হয়েছি
শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে।
গুরুদের তরে আমাদের ছিলো
ভক্তি, শ্রদ্ধা, সম্মান,
উনারাও শিখিয়ে গেছেন
ভেবে নিজেদের সন্তান।
খেলার সময় খেলেছি মাঠে
পড়ার ওয়াক্তে বই,
আজকালকার শিশুরাও কি
সেকালের মতো নই?
যুগ পাল্টানোর দোহাই দেয়াটা
চিরায়ত স্বভাব সকলের,
ফিরিয়ে এনে সময়টুকু
কেউ চায়না ভাঙতে নিয়মের।
সমাজকে কেন দোষারোপ করে
বাধাতে হবে ঝগড়া,
দিনশেষে মানুষদের নিয়েই
এই সমাজটা গড়া।
রসাতলে গেছে মানুষ
হয়নি ক্ষতি সমাজের,
মানতেই হবে ওলট-পালট
রুচির বিপর্যয় আমাদের।
ফুরিয়ে যায়নি শেষ উপাদান
নৈতিকতা শেখার পথ,
সচেতন প্রজন্ম এগিয়ে আসলেই
গড়ে উঠবে মানবিক জগৎ ।।