পৃথিবীকে করেছে মধুর,
দিয়েছে রূপ লাবণ্য।
হাসিয়েছে কোটি অরণ্য,
দেখিয়েছে পথ।
ভাসিয়েছে ভেলা,
করেনি হেলা।
গৃহকে করেছ উজ্জ্বল,
সমরকে দিয়েছে প্রাণ।
করেছে জাতি ধ্বংস,
দিয়েছে বিষ ঢেলে; সমাজ প্রাঙ্গণে।
গড়িয়েছে বারি,
হয়েছে ধ্বংসাশী।
অনবদ্য বাক্য বুলি,
এনেছে বিপদ কতক গৃহে।
করেছে কূট বিষ মুখ সমরাঙ্গণে,
করেছে ধ্বংস হাজারো প্রাণ।
জ্বালালো অনল হাজারো প্রাণে,
করেছে ধ্বংস হাজারো মৌন।
সর্বনাশী ধ্বংসাশী মিথ্যাগ্রহী তারা!
পুড়িয়েছে মৌন আমারি গৃহে,
দিয়েছে যন্ত্রণা নরকতুল।
পেয়েছি আমি নিরব দৃষ্টান্ত,
ধ্বংসাশীদের থেকে।
এগিয়ে থাকে গেরিলা আক্রমনে,
সুযোগ সন্ধানী রূপে।
লেফাফাদুরস্ত হাস্য মুখ,
দেয় কৃত্তিম অন্ন মুখ।
ভেঙ্গেছে আমার নব্য মৌন,
উঠিয়েছে নেত্র-জল।
দেখিয়াছি দ্বেষ নব্য রূপে,
শঙ্কিত হয়নি ক্ষুদ্র মৌন।
জানাছিল এই বিবিধ রতন,
ভেঙ্গেছে ভুল হাজারো দিবার।
চাই না এ বিবিধ প্রীতি,
অন্য কোনো মানবী থেকে।
ধন্য তাদের বংশভার,
ধন্য তাদের বিশ্ব।
ভাগ্য হাসে তাদের কাছে,
অন্ন ভাসে দূর কাননে।
শ্বেত রক্ত হয়েছে তপ্ত,
শবনমে ঢাকা ধানের শীর্ষে।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রবাহ,
দিয়েছে খুলে পর্দা লোচন।
দিয়েছে ঢেলে রক্ত বিষ,
বিন্দু কণা পাহাড়ময়।
ছড়িয়েছে ঘৃণা নিরব মৌনে,
খুলেছে চোখ নূতন করে।
ইতি টানছি এই মর্মে,
চলবে দ্বেষ অবিরত।
উড়ছে ডানা বিষাদমুখে,
গুনছি আমি কাল থেকে।।।
৭ বৈশাখ ১৪৩০।