বৈশাখ একটি শব্দ
সেইদিন বাঙ্গালী জব্দ।
বৈশাখের সকালে নয়ন খোলে দেখি হাসছে সূর্য
দাদা ডাকছে জুয়েল উঠলি মূখ।
দরজা খুলে দেখি, দা হাতে দাড়িয়ে
ধর কামাইলা গোটা, ডোব দিয়ে খাবি,
কি হবে দাদা, রোগবালাই হবে না
হাসতে হাসতে দিলাম হাত বাড়িয়ে।
এই বলে চলে গেল, অন্যকে সবাইকে খাওয়াতে
বাড়ির প্রতিটি গাছ ছাটাই কর,
কাঠাল, আম, জাম, তারাতারি বাড়তে।
ঘোষাইস্থলে মেলা বসছে, শোনা যায় বাঁিশ
এই যেন নতুন দিনের, নতুন দেশ
আনন্দের আওয়াজ, শান্তি ঘ্রাণ আসছে রাশি রাশি।
ছোটদের কে নিয়ে চললাম মেলায়
পথে পথে হুজুর সাহেব বৈশাখে আনন্দে
বসছে মাইক নিয়ে মসজিদের বারান্দায়।
পথে পথে নানার পোশাকে নানান মানুষ
সবাই যেন আপনজন, নয় পর
যে যেভাবে চলুক আজ, নয় কোন দুশ।
মেলাতে যেতে জিলাপী,তরমুজ, রসগোল্লা
জিব্বাহ আর মানছেনা, পুরতে লাগলাম মোর ঝুলা।
সামনে যেতে মাটির পুতুল, হাতি- ঘোড়া
বটতলায় তাকাতে দেখি তরুন প্রজন্ম,
ঢোল,তবলা, হারমোনি নিয়ে বসছে আছে জোড়ায় জোড়া।
সবার হাতে মেলার উপহার.
হিন্দু,বুদ্ধ, মুসলিম, ছোট,বড় সবার.
এগিয়ে যাবে দেশ, শত পথে খুজবে আহার।