ঝুম বর্ষায় চরণ মাখিয়ে যায়
আনন্দে আতœহারা,মায়ের বকুনি খায়।
তবুও খুশি,ঝুম বর্ষায় ছোয়া হৃদয়ে
মায়ের বকুনি মধুর চেয়ে মিষ্টি,যায়না কিছু ক্ষয়ে।
বাংলার মাটি,আমার অংকার
লক্ষ প্রাণের রক্তের হাহাকার।
দেখিয়ে দিয়েছে দু‘হাত বাঙ্গালী
৭১‘এর সেই রাত,বধ হয়েছে ছিল কন্ঠনালী।
১৬ই ডিসেম্বর হৃদয়ে অংকার,মায়ের মুখের হাসি
ছিনিয়ে এনেছি স্বাধীনতা,তাইতো তাকে এত ভালবাসি।১০
চললাম আমি ঝুম বর্ষায় পুকুর পাড়ে
পিছে ফিরে দেখি মাকে বারে বারে।
দুষ্ট চোখ যায়,অরণ্যের একটি বট তলায়
পা থেকে মাথা অবধি নিস্তবদ প্রকৃত মায়ায়।
বটপাতার ফাঁকে কাঁপছে গোলাপী ঠুট
হৃদয় শিহরণ দৃর্ষের অবলোকন প্রেমের মুকুট।
পা এগুতে অবশ পা পারছিনা হাঁটতে
এ যে এক প্রেয়সী নারী,ভেজা লাল শাড়িতে।
দুষ্ট চোখ,গোলাপী ঠুট নিরব ভাষায়
কাঁপা কাঁপা নিরব ভাষায় ডাকছে যেন আমায়।২০
সকল অঙ্গে উত্তাল যৌবনের জোয়ার উঠে
দুষ্ট চোখ নিরব অবলোকন ঠুটের নিচের দিকে।
পারছিনা থাকতে যেন ভেসে যায় তারি যৌবন বাকে
চারদিকে নিঝুম বর্ষায় যেন প্রেমের রাজ্য
ভালবাসার অংককষে খুজে পাবকি প্রেমের ভাজ্য।
এলোমোলো ভেজা কেশ,যেন বৃক্ষের ডানা
ফুলে ফুলে সাজানো,উড়ছে বাতাসের হানা।
কপালে ছোট একটি টিপ রংতার সবুজ লাল
স্বাধীন বাংলার অপেক্ষায় যেন,আখিঁ ছল ছল।
সাহসী এক দেশ প্রেমিকা,মাকে ধরবে আকঁড়ে ৩০
কখনো পারবেনা মা ফেলে দিতে ঝাখড়ে।
একটু এগুতে,প্রেয়সী টানছে তার আচল
জেগে উঠেছি,হঠাৎ আমি চঞ্চল।
ভেসে আসছে কানে একটি মধুর কন্ঠ
এখানে বাস তোমার,যেন স্বাধীনতার পিপাসু কন্ঠ।
চুপ রইলাম,কি বলব কথা নাহি পায়
মিষ্টি সুরে নাম কি তোমার,চল এগিয়ে যায়।
ছোট পায়ে ঝুমুর তালে পুকুর ঘাঠে যায়
পিছে পিছে আমি যেন প্রেমের তরী বাই।
হঠাৎ বজ্জ্র আওয়াজ,চিৎকার দেয় প্রেয়সী ৪০
জড়িয়ে ধরিল আমায়,যেন বাজালো প্রেমের বাশি।
আজি করব আদায় ভালবাসা ছলে-বলে-কৌশলে
বুঝবে বাচাধন আজ ভালবাসা কাকে বলে।
প্রিয়সী বলছে,ক্ষমা করবেন,আকাশটি ভারী দুষ্ট
না দুষ্ট হতে যাবে কেন,সব কিছুই স্রষ্টার সৃষ্ট।
ছেড়ে দিয়ে ,ঝুম বর্ষায় এখানে কি করছ
বৃষ্টি ফোটায় শীত যেন জীবন সাথী,ভালবাসার নীর সাক্ষী দেখেছ।
সরে গিয়ে শাড়ী টানছে,মুখমন্ডল লাল
ভেদ করে এসেছি নিশ্চত মূত্যুর জাল।
পিতা-মাতা-ভাই বোন সবই গেছে ওপাড়ে ৫০
পাক-বাহিনীর শয়তান ্একটি চেপে বসে ঘড়ে।
সূর্যমুখী গ্রাম জনশূন্য আজ আছে শুধু ছাই
অন্ধকার যে দিকে পেড়েছি,জীবনের নৌকা বাই।
জীবন তরী থেমেছে আজ তোমাদের গায়
পাব কি জীবন তরী তোমাদের গায়ে ডাই।
প্রিয়সী নারী প্রথম দেখাতে দিয়েছি হৃদয়ে ডাই
বলবে কি ঘটেছিল,তোমাদের সূর্যমুখী গায়।
রক্তে ভেজা নদী,পায়ে পায়ে লাশ,এটা কোন দেশ
কাঁপছে আর কাদঁছে ,বলতে হবে না, চল বেশ।
কাপাঁ কাঁপা কন্ঠে বলল, যাব কোথায় ৬০
কে আছে তোমার,বলবে কি আমায়।
ছোট একটি ভালবাসার রঙ্গনি কুটির
আদরিনী মা,ছোট একটি ভাই মনির।
ধরবে কি হাত,তোমার ভালবাসার পরশ ছোয়ায়
জড়াবে আমায় ,তোমার হৃদয়ের গভীর মায়ায়।
মনে মনে ভেবে,জীবন তরী নাইযে কোন উপায়
হাত ছাড়া করা যাবে না, অন্ধের যষ্টির ঠাই।
হাত রাখতে হাতে শিখরন আমার সারা অঙ্গে
দূরদিনে মনে নেচে উঠে ভালবাসার ঢঙ্গে।
হাতের উপর হাত নিরব কয়েক মিনিট ৭০
দুই জনের মনে,বাজছে যেন প্রেমের বাঁিশর বিট।
পায়ে পায়ে হাটছি,যেন দুইজনে পরিচয় হাজার বছরে আগে
ভাবিনি সহজে আমারা প্রেমের ফুল ফুটবে হৃদয় বাগে।
ফিরে ফিরে দেখি,প্রিয়ার ভালবাসা মাখা মুখে
যেন লক্ষ-বছর ধরে রাখি প্রিয়াকে আমার বুকে।
প্রিয়া কোন কথা বলছনা টুপ যে
ভয় পাচ্ছ ছেলেটি যদি হয় বাজে।
ভালবাসার কুটিরে পৌছে যাব বেলা সন্ধা-সাজে
ঐ যে মায়ের কন্ঠ শুনা যাচ্ছে সকল কাজে।
মা মা দেখে যাওয়া কাকে নিয়ে এসেছি ৮০
মনির,ভাইয়্যা দেখ কেমন লাগছে আমি সেজেছি।
মনির,কি সুন্দর বিয়ে করেছ ভাইয়্যা এই যে এক পরী
মা মা দেখ,ভাইয়্যা এনেছে সুন্দর এক পরী।
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে কে এসেছে,এত খুশিতে কয়
মা কে দেখে প্রিয়সী নারী,র্নিবাদ দাড়িয়ে রয়।
মা, যুদ্ধে তার হারিয়ে সব এখন আছিস তোই
ঘরে চল মা, ভাজতে ছিলাম ভিন্নি ধানের খই।
আজ থেকে আমিই তোর মা,আমি সব
হঠাৎ গুলির আওয়াজ,শোনা যায় কন্নার কলবর।
ঠক ঠক জুতুর আওয়াজ,কে আসিছ ঘরে ৯০
মুক্তি কাহা,বের করে দে আমাদের তরে।
আমরা সবাই কাপঁছি,মা বের হলেন
বাবা মুক্তি নেই এখানে আমি একা আছি বলেন।
পাষান্ড পাকিস্তানি ,ঝাজরা করে দিল আমার মাকে
পারছিনা ঘরে থাকতে,কান্নার ঝড় উঠে হৃদয় বাকে।
জাপিয়ে পড়িছি মায়ের প্রতিশোধ নিতে মনের আগুনে
আমি,মনির আর প্রিয়সী যুদ্ধে করে থাকি বনে বনে।
হয়তো থাকবনা আমরা,দেশ হবে স্বাধীন একদিন , ১০০
আগামী প্রজন্ম বাজাবে স্বাধীনতার বীন।
খুদায় যে আর থাকতে পারিছিনা মরে যায়
মনির দৌড়ায় একটু খাবার কোথায় খোজে পাই।
দক্ষিণ দিকে লাল একটি ফল দেখা যায়,
আছে যেতেই ছোট একটি বুলেট জীবন বাতি নিবায়।
মা,ভাই হারিয়ে ক্লান্ত আজ আছ শুধু তোমি
দু’জনে কবুল বলি, সক্ষী অন্তর জামি।
মিলনের যে ফসল ,পাবে স্বাধীন বাংলা
যদি না থাকি আমি ,তারি জন্য উপহার এই বাংলা।
প্রায় মাস কেটেঁ গেল,ক্লান্ত বনে বট তলায় ১১০
এক টুকরা লোহা এসে বিদ্দল আমার গায়।
অস্ত্র চলছেনা,উঠতে পারছিনা,ডাকছি প্রিয়সী কোথায়
প্রিয়সী কান্নায় হাত ধরে,প্রিয়সী ধরাতে থেকে নিচ্ছি বিদায়।
জীবনের বাঁচা নেই দরকার,কান্নায় ঘুমিয়ে উঠে
আজ যেন নেই গুলির আওয়াজ,স্বাধীনতার সূর্য ফুটে। ১১৫